এফ. আর. লিভিস (Frank Raymond "F. R." Leavis) ছিলেন বিশ শতকের প্রথমার্ধ থেকে মধ্যভাগের একজন বিশিষ্ট ইংরেজি সাহিত্য সমালোচক। তিনি তার কর্মজীবনের বেশিরভাগ সময় ক্যামব্রিজের ডাউনিং কলেজে এবং পরবর্তীতে ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনায় ব্যয় করেন। ১৯৫০ ও ১৯৬০-এর দশকে তিনি ইংরেজি ভাষার অন্যতম প্রধান সমালোচক হিসেবে বিবেচিত ছিলেন।
জন্ম: ১৪ জুলাই, ১৮৯৫, ক্যামব্রিজ, যুক্তরাজ্য
মৃত্যু: ১৪ এপ্রিল, ১৯৭৮ (বয়স ৮২), ক্যামব্রিজ, যুক্তরাজ্য
জীবনসঙ্গী: কিউ. ডি. লিভিস (বিবাহ: ১৯২৯–১৯৭৮)
প্রভাবিত করেছেন: ডেভিড হলব্রুক, আর্নল্ড কেটল, উইলফ্রিড মেলার্স, রেমন্ড উইলিয়ামস, নরম্যান পোডহরেটজ, হাওয়ার্ড জেকবসন
তার ১৯৩৭ সালের প্রবন্ধ "Literature and Society"-এ, এফ. আর. লিভিস (১৮৯৫-১৯৭৮) যুক্তি দেন যে সাহিত্য সমাজের মূল্যবোধ, বিশ্বাস এবং উদ্বেগের প্রতিফলন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে সাহিত্য সমালোচনার উদ্দেশ্য হলো মানব সভ্যতার নৈতিক মূল্যবোধকে তুলে ধরা। লিভিস বিশ্বাস করতেন যে সাহিত্য সমাজের একটি দর্পণ, এবং লেখকরা সমাজে তাদের অভিজ্ঞতা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তাদের সাহিত্যকর্ম রচনা করেন। লিভিস বিশ্বাস করতেন যে সাহিত্য সমাজ গঠনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
"Literature and Society" Background : "Literature and Society" হলো F.R. Leavis-এর একটি প্রবন্ধ। মেট্রিক্সিং দশকে, Leavis একবার "Union of the London School of Economics and Politics"-এ আমন্ত্রিত হন, যেখানে তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে "Literature and Society" বিষয়ক বক্তৃতা দেন। তিনি ব্যাখ্যা করেন যে সাহিত্য এবং সমাজ পরস্পরের উপর নির্ভরশীল। Leavis সাহিত্য, ঐতিহ্য, শিক্ষা এবং সমাজের প্রতি গভীর আগ্রহ প্রদর্শন করেন। তিনি T.S. Eliot, D.H. Lawrence, William Blake, Bunyan এবং অন্যান্য লেখক ও কবিদের দ্বারা অনুপ্রাণিত হন। ফলস্বরূপ, তিনি "The Great Tradition," "The Common Pursuit," "New Bearings in English," "Dickens the Novelist," "Education and University" ইত্যাদি বহু গ্রন্থ রচনা করেন।
তার প্রবন্ধ "Literature and Society" বিশ্লেষণ করার আগে, আমাদের উচিৎ তার দুটি গুরুত্বপূর্ণ উক্তি স্মরণ করা:
"Literature is the supreme means by which you renew your sensuous and emotional life and learn a new awareness."
"Literature is the storehouse of the recorded values."
উপরোক্ত উক্তিগুলি আমাদের আশ্বস্ত করে যে, একজন মানুষের জীবনে সাহিত্যের গুরুত্ব অপরিসীম এবং এটি কতটা প্রয়োজনীয়। Leavis সবসময় বিশ্বাস করতেন যে সাহিত্য জীবনের সমালোচনার (criticism of life) সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত হওয়া উচিত।
এই প্রবন্ধে তিনি পাঠকদের অবহিত করেন যে—
একজন লেখকের কর্তব্য হলো নিজেকে শ্রমজীবী শ্রেণির সঙ্গে সংযুক্ত করা।
একজন সমালোচকের কর্তব্য হলো সাহিত্যকর্মগুলোর মূল্যায়ন করা, বিশেষ করে সেগুলি সমাজের শ্রেণিসংগ্রামের যথাযথ ও পূর্বনির্ধারিত ফলাফলের পক্ষে বা বিপক্ষে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে তা বিবেচনা করা।
একজন সাহিত্য ইতিহাসবিদের দায়িত্ব হলো সাহিত্যিক ইতিহাসকে পরিবর্তনশীল অর্থনৈতিক ও বস্তুগত বাস্তবতার প্রতিফলন হিসেবে ব্যাখ্যা করা।
এখানে Leavis সমাজের প্রতিটি পেশাকে সাহিত্যের সঙ্গে সংযুক্ত করেছেন এবং তাদের পারস্পরিক সম্পর্কের মাধ্যমে সমাজে অবদান রাখার বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন। অর্থাৎ, সাহিত্য বিভিন্ন ক্ষেত্রের মাধ্যমে সমাজের সঙ্গে সম্পর্কিত।
D.H. Lawrence
প্রথমদিকে, Leavis শ্রমজীবী শ্রেণি এবং তাদের জীবনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত সাহিত্যের উপর গুরুত্ব দেন। D.H. Lawrence-এর উদাহরণ টেনে তিনি বলেন যে, Lawrence বাস্তবতাকে ভুলভাবে উপস্থাপন করেছিলেন, যার ফলে তিনি মধ্যবিত্ত (bourgeois) শ্রেণির কাছে পৌঁছাতে ব্যর্থ হন। তিনি এমন একটি সামাজিক শ্রেণির জীবন ভাগ করে নিয়েছিলেন, যা ইতোমধ্যেই তার শ্রেষ্ঠ সময় পেরিয়ে এসেছে।
মার্কসবাদী তত্ত্ব
Leavis বলেন, "Marxist’s approach to literature seems to me unprofitable", অর্থাৎ সাহিত্য বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে মার্কসবাদী দৃষ্টিভঙ্গিকে তিনি ফলপ্রসূ মনে করেন না। তিনি সাহিত্যকে একক শিল্পকর্ম হিসেবে স্বীকৃতি দেন এবং মনে করেন যে, কেবলমাত্র সুনির্দিষ্ট সৃজনশীল প্রতিভার অধিকারী ব্যক্তিরাই সাহিত্য সৃষ্টি করেন। অন্যদিকে, মার্কসবাদী তত্ত্ব সমাজের অর্থনৈতিক ও বস্তুগত উপাদানের উপর গুরুত্ব দেয়।
T.S. Eliot-এর Tradition বিষয়ক তত্ত্ব
T.S. Eliot-এর সমালোচনামূলক কাজ যথাযথ মূল্যায়ন না পাওয়ার কারণ ছিল "Romantic critical tradition"-এর সচেতন প্রত্যাখ্যান। রোমান্টিক যুগ মূলত অনুপ্রেরণা ও ব্যক্তিগত প্রতিভার উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছিল। Eliot মনে করেন, শিল্পকর্মের সাফল্য বুঝতে হলে ব্যক্তিগত প্রতিভা ও মৌলিক আবেগগুলোর গুরুত্ব স্বীকার করা জরুরি।Eliot তাঁর তত্ত্বে শিল্পের সামাজিক প্রকৃতির উপর নতুনভাবে গুরুত্ব দেন, তবে তিনি "social" শব্দের পরিবর্তে "impersonal" শব্দটি ব্যবহার করেন। তিনি বলেন—"একজন শিল্পীকে সচেতন হতে হবে যে, ইউরোপীয় মানসিকতা, তার নিজস্ব দেশের মানসিকতা, যা সময়ের সঙ্গে পরিবর্তিত হয়, তা তার ব্যক্তিগত মানসিকতার চেয়েও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।"
একজন প্রতিভাবান লেখকের জন্ম হলে, তিনি নিজের অনুপ্রেরণাকে কাজে লাগিয়ে সাহিত্য সৃষ্টি করেন। একজন লেখকের অবশ্যই সচেতন হওয়া উচিত যে, তার সাহিত্যকর্মটি কোন ধারার অন্তর্গত। Leavis মনে করেন যে, সাহিত্য একটি জৈবিক গঠন ও স্বাভাবিক ক্রমবিন্যাস (organic form and organic order) অনুসরণ করে।
মার্কসবাদী তত্ত্ব ও Tradition তত্ত্বের পার্থক্য
Tradition তত্ত্ব সৃজনশীলতার সামাজিক দিকটির উপর গুরুত্ব দিলেও ব্যক্তিগত প্রতিভাকে অগ্রাহ্য করে না।
মার্কসবাদী তত্ত্ব সাহিত্যকে শুধুমাত্র অর্থনৈতিক ও সামাজিক বাস্তবতার প্রতিফলন হিসেবে বিবেচনা করে।
Eliot-এর দৃষ্টিভঙ্গি অনুসারে, "ব্যক্তিগত প্রতিভা ছাড়া কোনো সৃজনশীলতা সম্ভব নয়।"
Leavis-এর মতামত
Leavis মনে করেন, "Only in individuals that society lives," অর্থাৎ সমাজ আসলে ব্যক্তির মধ্যেই বেঁচে থাকে। তিনি বলেন, "সাহিত্যের প্রকৃতি নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে গেলে সমাজ বনাম ব্যক্তি দ্বন্দ্বের প্রতি কিছুটা সংযম অর্জন করতেই হবে।"
এই বক্তব্যকে তিনি ব্যাখ্যা করেন রোমান্টিক লেখকদের বৈচিত্র্যের মাধ্যমে। তিনি দেখান যে, রোমান্টিক লেখকেরা আসলে কোনো সাধারণ রোমান্টিকতাকে প্রতিফলিত করেন না। তাদের একত্রিত করা সম্ভব শুধু তাদের যুগের প্রেক্ষাপটে এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ শূন্যতার মাধ্যমে—তারা একটি ইতিবাচক ঐতিহ্যের পরিবর্তে কিছুই উপস্থাপন করেননি।
অগাস্টান যুগ সামাজিক দিকগুলোর উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিল। তাদের প্রচলিত রীতি, মানদণ্ড এবং পরিপক্বতার ভাষাশৈলী "Tattler" এবং "Spectator"-এ সুস্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। Leavis-এর মতে, যে যুগে ঐতিহ্য প্রতিষ্ঠিত হয়, সে যুগে লেখক নিজেকে সমাজের সঙ্গে সংযুক্ত অনুভব করেন। অগাস্টান যুগের স্বর্ণযুগ এবং কুইন অ্যানের শাসনকাল ছিল সাংস্কৃতিকভাবে আত্মবিশ্বাসী ও সমৃদ্ধ সময়।
William Blake তার সম্পূর্ণ চেতনা, প্রতিভা, এবং ভাষার নতুন ব্যবহারের মাধ্যমে কাব্যিক উৎকর্ষ প্রকাশ করেছেন। Blake-এর মতে— "It is I who see and feel. I see only what I see and feel what I feel. My experience is mine, and in its specific quality lies its significance."
অর্থাৎ, "আমি যা দেখি এবং অনুভব করি, তা-ই আমার বাস্তবতা। আমার অভিজ্ঞতা একান্তই আমার, এবং এর নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যের মধ্যেই এর গুরুত্ব নিহিত।"
Leavis মনে করেন, Blake নিজস্ব কোনো নতুন ভাষা উদ্ভাবন করেননি বরং প্রচলিত ইংরেজি ভাষাকেই ব্যবহার করেছেন। তবে, তার চিন্তাভাবনা এবং সংবেদনশীলতা (sensibility) এই ভাষার মধ্য দিয়েই প্রকাশিত হয়েছে।
Leavis আরও বলেন, Blake তার প্রতিভার যথাযথ বিকাশের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ পাননি। তবে, Blake-এর কাজের মাধ্যমে আমরা দেখতে পাই Wordsworth-এর মতো কবির সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার প্রতি আগ্রহের তাৎপর্য।
সত্যিকারের সংস্কৃতির সেরা উদাহরণ হল Dryden-এর সমসাময়িক লেখক Bunyan। তার শ্রেষ্ঠ সাহিত্যকর্ম "The Pilgrim's Progress"।Bunyan ছিলেন তার সময়ের সভ্যতার অংশ, একজন সাধারণ কারিগর (Mechanick) যিনি ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতেন।Bunyan-এর জনপ্রিয় সংস্কৃতির গুরুত্ব বোঝাতে "By-End" থেকে একটি অংশ আলোচনা করা হয়। সাহিত্যের পেছনে একটি সামাজিক সংস্কৃতি ও জীবনযাপনের শিল্প রয়েছে।
Cecil Sharp-এর গবেষণা ও Appalachian Folk-Songs Cecil Sharp-এর "English Folk-Songs from the Southern Appalachians" গ্রন্থে দেখানো হয়েছে যে, একটি সভ্যতা বা জীবনধারা (way of life) আসলে সামাজিক জীবনের একটি শিল্প।
Appalachian পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর পূর্বপুরুষরা ১৮শ শতকে ইংল্যান্ড ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন।
তাদের কথ্য ভাষা ইংরেজি, আমেরিকান নয়।
তারা শান্ত, আনন্দমুখর, এবং সামাজিক প্রবৃত্তি খুবই উচ্চমানের।
তারা বাইবেল সম্পর্কে গভীর জ্ঞান রাখে, কঠোর ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলে, তবে অধিকাংশই নিরক্ষর।
নিরক্ষর মানুষও উচ্চ সংস্কৃতির চর্চা করতে পারে, যা শুধুমাত্র তারাই বিস্মিত হবে যারা "শিক্ষা" এবং "সংস্কৃতি" শব্দদ্বয়কে এক ও অভিন্ন মনে করে।
শেকসপিয়ার থেকে শুরু করে আধুনিক Marvel-এর সাহিত্য পর্যন্ত আমরা একটি পরিশীলিত, অভিজাত ইউরোপীয় ও নগর সংস্কৃতির প্রতিফলন দেখতে পাই। Leavis এখানে Dryden ও Halifax-এর তুলনা করেছেন।
Halifax সহজ, মার্জিত, প্রাকৃতিক এবং কথোপকথনের স্বাভাবিক ছন্দে দক্ষ ছিলেন। তিনি Restoration যুগের প্রকৃত চেতনাকে ধারণ করলেও তার ভাষার প্রাণবন্ততা এবং চলিত রীতির কারণে Bunyan-এর মতো মনে হয়।
Dryden তার সাহিত্যকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলেন, তবে তিনি Bunyan-এর মতো সাধারণ সংস্কৃতি নয়, বরং নগর সংস্কৃতির মার্জিত ও প্রজ্ঞাময় ধাঁচ উপস্থাপন করেন।
Augustan যুগের কাব্যে, Pope ও Addison-এর লেখায় মার্জিত ভাষাশৈলীর স্পষ্ট নিদর্শন পাওয়া যায়।
Wordsworth-এর মৃত্যুর পর সাহিত্য গ্রাম্য জীবন থেকে সরে এসে যান্ত্রিক সভ্যতার দিকে এগিয়ে যায়।
কেউ যদি মনে করে যে আধুনিক সাহিত্য কেবল Marxist কিংবা Wellsian দৃষ্টিভঙ্গিতে সমাজ, রাজনীতি ও অর্থনীতির সমস্যাগুলোর প্রতিফলন, তাহলে তা হবে ভ্রান্ত ধারণা। কারণ সাহিত্যের ঐতিহ্য যদি না থাকত, তাহলে ইতিহাস হারিয়ে যেত এবং জনপ্রিয় সংস্কৃতির অস্তিত্বই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যেত।
Leavis রাজনীতি ও সমাজবিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে পরামর্শ দেন—
"সাহিত্য তার প্রকৃত মূল্য কেবল তখনই প্রকাশ করবে, যখন তা সাহিত্য হিসেবেই বিশ্লেষণ করা হবে।"
এজন্য তিনি সমালোচকদের উদ্দেশে বলেন—
একজন শিল্পীর ভাষার ব্যবহার ও তার গঠনের জটিলতা যথাযথভাবে বোঝা গুরুত্বপূর্ণ।
শুধুমাত্র স্পষ্ট মূল্যায়নের বদলে ভাষার সূক্ষ্মতা ও প্রতিক্রিয়ার প্রতি মনোযোগী হওয়া উচিত।
একজন সমালোচকের অভিজ্ঞতা ও উপলব্ধি সাহিত্য বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
এ প্রসঙ্গে তিনি Gilbert Murray-এর "Rise of a Greek Epic" ও Dame Bertha Phillpott-এর "WA and Saga"-এর উল্লেখ করেছেন।
Leavis বলেন—
"ভাষার সূক্ষ্মতার সঙ্গে পরিচিত হওয়া এবং বিমূর্ত বা সাধারণ চিন্তার সঙ্গে মানব অভিজ্ঞতার বাস্তব সংযোগ অনুধাবন করা ছাড়া, সমাজ ও রাজনৈতিক অধ্যয়ন যথাযথ তীক্ষ্ণতা ও শক্তি লাভ করতে পারবে না।"অর্থাৎ, সাহিত্য সমাজ ও রাজনীতির বোঝাপড়ার জন্য অপরিহার্য।
তিনি বিভিন্ন যুগের সাহিত্যিক দৃষ্টিভঙ্গির বিবর্তন তুলে ধরেছেন।পাঠক উপলব্ধি করতে পারেন যে, সাহিত্য কেবল শিল্প নয়, এটি সমাজের প্রতিচ্ছবি ও পরিবর্তনের অন্যতম চালিকাশক্তি।