উইস্টান হিউ অডেন (Wystan Hugh Auden) ছিলেন একজন ব্রিটিশ-আমেরিকান কবি। তাঁর কবিতা শৈল্পিক ও প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতার জন্য প্রসিদ্ধ, পাশাপাশি এটি রাজনীতি, নৈতিকতা, প্রেম, ধর্ম ইত্যাদির প্রতি গভীর মনোযোগ প্রদান করে। তাঁর রচনায় স্বরের বৈচিত্র্য, ছন্দ ও বিন্যাসের বহুমুখিতা লক্ষ্য করা যায়।
জন্ম: ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯০৭; ইয়র্ক, যুক্তরাজ্য
মৃত্যু: ২৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৩ (বয়স ৬৬); ভিয়েনা, অস্ট্রিয়া
সম্পূর্ণ নাম: উইস্টান হিউ অডেন
প্রভাবিত করেছেন: টি. এস. এলিয়ট, ক্রিস্টোফার ইশারউড, জন ডান প্রভৃতি
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরের দশকে লেখা এই কবিতাটিতে ২০শ শতকের যুদ্ধের ঘটনা ও প্রযুক্তির উল্লেখ রয়েছে এবং এটি যুদ্ধ ও আধুনিক সমাজের সম্পর্ক অন্বেষণ করে। যে সংকলনে এটি প্রকাশিত হয়েছিল, সেটি ওডেনকে ন্যাশনাল বুক অ্যাওয়ার্ড এনে দেয়।
দেবী থেটিস তাকিয়ে ছিলেন, যখন হেফাইস্টোস তার পুত্র অ্যাকিলিসের জন্য বর্ম তৈরি করছিলেন।
থেটিস আশা করেছিলেন যে বর্মের উপর তিনি দেখতে পাবেন সজীব সবুজ প্রকৃতির ছবি, সম্মানিত সমাজের চিত্র, এবং মুক্ত, বুনো জলের ওপর নির্ভয়ে চলতে থাকা জাহাজের দৃশ্য। কিন্তু তার পরিবর্তে, হেফাইস্টোস উজ্জ্বল ঢালে গেঁথে দিলেন মানুষের তৈরি এক বিরানভূমি এবং ধূসর, ভারী আকাশের ছবি।
এই ভূমি ছিল সম্পূর্ণ শূন্য—a মলিন বাদামি সমতলভূমি, যেখানে একফোঁটা ঘাসও ছিল না, ছিল না কোনো মানুষের বসবাসের চিহ্ন। সেখানে খাবারের কোনো ব্যবস্থা ছিল না, বিশ্রামের জন্যও কোনো স্থান ছিল না। তবুও, ধোঁয়াটে পরিবেশের মধ্যে অসংখ্য সৈন্যের ভিড় দেখা গেল। তারা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে ছিল, মুখে কোনো অনুভূতির ছাপ ছিল না, শুধু আদেশের অপেক্ষায়।
একজন অজানা ব্যক্তির কণ্ঠ বাতাসে প্রতিধ্বনিত হলো। সে কেবল তথ্য-উপাত্ত উল্লেখ করল, যেন এসবই যথেষ্ট কারণ যে সৈন্যদের যুদ্ধে যেতে হবে। কণ্ঠস্বর ছিল রুক্ষ ও নিরাসক্ত, যেন সেই শূন্য, প্রাণহীন ভূমিরই প্রতিফলন। সে কণ্ঠস্বর কারো মনে উত্তেজনা বা লড়াইয়ের আগ্রহ সৃষ্টি করল না, তবুও কেউ কোনো প্রশ্ন তুলল না। একে একে সৈন্যরা সামনে এগিয়ে গেল, তাদের পায়ের নিচে ধুলা উড়তে লাগল। তারা তাদের আদেশের যুক্তি আঁকড়ে ধরে রাখল, যদিও শেষ পর্যন্ত তা কেবল হতাশার দিকেই নিয়ে গেল।
থেটিস হেফাইস্টোসের দিকে তাকিয়ে রইলেন, আশা করলেন তিনি হয়তো এবার ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের সুন্দর চিত্র ফুটিয়ে তুলবেন—যেখানে ফুলে সাজানো গরুদের নিয়ে দেবতাদের উদ্দেশে উৎসর্গ করা হচ্ছে। কিন্তু যেখানে থেটিস একটি উজ্জ্বল বেদির ছবি আশা করেছিলেন, সেখানে হেফাইস্টোসের তৈরি দৃশ্যটি সম্পূর্ণ ভিন্ন কিছু হয়ে উঠল।
একটি এলোমেলো স্থানে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘেরা ছিল পুরো পরিবেশ। কয়েকজন উদাসীন কর্মকর্তা অলসভাবে বসে ছিল, কেউ কেউ মজার গল্প বলছিল, আর প্রহরীরা প্রচণ্ড গরমে ঘামছিল। অন্যদিকে, সাধারণ কিছু সাধারণ শহরের মানুষ নির্বিকার দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিল, যেখানে তিনজন বিবর্ণ মুখের বন্দিকে মাটিতে পুঁতে রাখা খুঁটির সঙ্গে শৃঙ্খলিত অবস্থায় দাঁড় করানো হয়েছিল।
এই তিনজন মানুষ—যাদের জীবন সৌন্দর্যে ও মহত্বে পূর্ণ ছিল, যাদের স্বপ্ন ও ভালোবাসা ছিল—তারা অন্য সবার মতোই সমান গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কিন্তু এখন, তাদের ভাগ্য তাদের হাতের বাইরে চলে গিয়েছিল। তারা অসহায় ছিল, এবং তারা জানত, কেউ তাদের সাহায্য করবে না। সত্যিই, কেউ করলও না। তাদের বন্দিরা কেবল যা করবার তাই করল, আর ভিড়ে দাঁড়িয়ে থাকা সবচেয়ে নির্মম মানুষগুলোর আশা ছিল, বন্দিরা যেন লজ্জিত হয়। মৃত্যুর আগেই তাদের মানবিক মর্যাদা কেড়ে নেওয়া হলো।
থেটিস তাকিয়ে রইলেন, যখন হেফাইস্টোস আরও কাজ করতে লাগলেন। তিনি দেখার চেষ্টা করলেন, যদি কোথাও প্রতিযোগী ক্রীড়াবিদদের ছবি থাকে, অথবা নর-নারীরা সুরের তালে সৌন্দর্যমণ্ডিত দেহ দোলাচ্ছে এমন কোনো দৃশ্য ফুটে ওঠে। কিন্তু নৃত্য-মঞ্চের পরিবর্তে, হেফাইস্টোস এক ধ্বংসপ্রাপ্ত মাঠের ছবি গড়লেন, যেখানে আগাছা চারপাশের সমস্ত গাছপালা শ্বাসরুদ্ধ করে দিচ্ছে।
একজন অগোছালো, দুষ্টু ছেলেকে দেখা গেল সেই শূন্য মাঠে ঘুরে বেড়াতে। সে একটি পাখির দিকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়ল। যদিও তার লক্ষ্য ছিল নিখুঁত, পাখিটি শেষ মুহূর্তে উড়ে পালিয়ে গেল। এই ছেলের কাছে, এটি ছিল জীবনের স্বাভাবিক বাস্তবতা—যেখানে মেয়েদের যৌন নিপীড়নের শিকার হতে হয়, আর ছেলেরা একে অপরকে আঘাত করে। সে এমন কোনো পৃথিবী চিনত না, যেখানে মানুষ প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে, বা অন্যের দুঃখে সংবেদনশীল হয়।
একটি শব্দও না বলে, গম্ভীর ধাতুশিল্পী হেফাইস্টোস ধীরে ধীরে দূরে সরে গেলেন। থেটিস, যার বুক ঢালের মতোই চকচক করছিল, গভীর কষ্টে একটি আর্তনাদ করে উঠলেন, যখন তিনি দেখলেন যে তার পুত্র অ্যাকিলিসের জন্য কী তৈরি করা হয়েছে। তিনি বুঝতে পারলেন, অ্যাকিলিস শক্তিশালী, অভিজ্ঞ যোদ্ধা হলেও, খুব শিগগিরই তার মৃত্যু আসন্ন।
English to Bangla Translation with Bangal Summary (Line by Line) :
1st Line:
She looked over his shoulder
সে তার কাঁধের ওপরে তাকাল।
(সারাংশ) – একটি মেয়ে বা নারী একজন ব্যক্তির কাঁধের ওপরে তাকিয়ে কিছু দেখার চেষ্টা করছে।
2nd Line:
For vines and olive trees,
আঙ্গুরের লতা এবং জলপাই গাছের জন্য।
(সারাংশ) – সে প্রকৃতির শোভা, বিশেষ করে আঙ্গুরের লতা ও জলপাই গাছ খুঁজছিল, যা সাধারণত শস্যপূর্ণ ও সমৃদ্ধশালী ভূমির প্রতীক।
3rd Line:
Marble well-governed cities
সুপরিচালিত মার্বেলের শহরগুলো।
(সারাংশ) – সে সুন্দরভাবে পরিচালিত, মার্বেল নির্মিত উন্নত ও সমৃদ্ধ শহর কল্পনা করছিল।
4th Line:
And ships upon untamed seas,
এবং অশান্ত সমুদ্রের উপর জাহাজ।
(সারাংশ) – সে দেখার আশায় ছিল দুর্দমনীয় সমুদ্রে ভাসমান জাহাজ, যা অভিযান, স্বাধীনতা ও শক্তির প্রতীক।
5th Line:
But there on the shining metal
কিন্তু সেখানে চকচকে ধাতুর উপর।
(সারাংশ) – বাস্তবে সে যা দেখল, তা ছিল ধাতুর কোনো প্রতিফলিত বা তৈরি অবয়ব।
6th Line:
His hands had put instead
তার হাতে যা বসানো হয়েছিল।
(সারাংশ) – সেই ব্যক্তি, যার কাঁধের ওপর সে তাকিয়েছিল, প্রকৃতির পরিবর্তে কিছু কৃত্রিম জিনিস তৈরি করেছে।
7th Line:
An artificial wilderness
একটি কৃত্রিম বন্যতা।
(সারাংশ) – প্রকৃতির পরিবর্তে, তার সামনে ছিল মানব-নির্মিত, শুষ্ক ও প্রাণহীন একটি পরিবেশ।
8th Line:
And a sky like lead.
এবং সীসার মতো ভারী আকাশ।
(সারাংশ) – প্রকৃতির খোলা নীল আকাশের পরিবর্তে, সে দেখল ধোঁয়াচ্ছন্ন, ভারী, ধূসর ও দমবন্ধ করা একটি পরিবেশ।
9th Line:
A plain without a feature, bare and brown,
একটি সমতল ভূমি, বৈশিষ্ট্যহীন, উজাড় ও বাদামি।
(সারাংশ) – এক শুষ্ক, বিরান ভূমির চিত্র আঁকা হয়েছে, যেখানে কোনো বিশেষ বৈশিষ্ট্য নেই, সবকিছু শূন্য ও নিষ্প্রাণ।
10th Line:
No blade of grass, no sign of neighborhood,
একটি ঘাসের শীষও নেই, প্রতিবেশের কোনো চিহ্ন নেই।
(সারাংশ) – আশেপাশে কোনো গাছপালা নেই, মানুষের বসবাসেরও কোনো লক্ষণ নেই, যা একেবারে নিষ্প্রাণতার ইঙ্গিত দেয়।
11th Line:
Nothing to eat and nowhere to sit down,
খাওয়ার কিছু নেই, বসারও কোনো জায়গা নেই।
(সারাংশ) – এই শূন্য ভূমিতে বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় কিছুই নেই, যা একপ্রকার অমানবিক পরিবেশের ইঙ্গিত দেয়।
12th Line:
Yet, congregated on its blankness, stood
তবুও, এই শূন্যতার মাঝে জমায়েত হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল।
(সারাংশ) – এই জনশূন্য ও বন্ধুর পরিবেশের মধ্যেও বহু মানুষ একত্রিত হয়েছে।
13th Line:
An unintelligible multitude,
একটি দুর্বোধ্য জনসমুদ্র।
(সারাংশ) – এক বিশাল জনতা উপস্থিত, কিন্তু তারা যেন একরকম নির্বাক ও অজ্ঞাত, তাদের উপস্থিতির অর্থ অস্পষ্ট।
14th Line:
A million eyes, a million boots in line,
এক মিলিয়ন চোখ, এক মিলিয়ন জুতো সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে।
(সারাংশ) – বিপুল সংখ্যক মানুষ, সামরিক শৃঙ্খলার মতো সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে, যা তাদের সমষ্টিগত ও যান্ত্রিক রূপকে তুলে ধরে।
15th Line:
Without expression, waiting for a sign.
অভিব্যক্তিহীন, একটি সংকেতের অপেক্ষায়।
(সারাংশ) – এই মানুষগুলো অনুভূতিহীন, যেন তারা নির্দেশের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে, তাদের নিজস্বতা বা স্বাধীনতা নেই।
16th Line:
Out of the air a voice without a face
আকাশের মধ্য থেকে এক মুখহীন কণ্ঠ ভেসে এলো।
(সারাংশ) – একটি অজ্ঞাতনামা কণ্ঠস্বর শূন্যতার মধ্য থেকে কথা বলছে, যার কোনো দৃশ্যমান উপস্থিতি নেই, এটি হয়তো প্রচার, আদেশ, বা প্রোপাগান্ডার প্রতীক।
17th Line:
Proved by statistics that some cause was just
পরিসংখ্যান দিয়ে প্রমাণ করল যে কোনো একটি কারণ ন্যায়সঙ্গত।
(সারাংশ) – যুক্তি ও পরিসংখ্যানের মাধ্যমে বলা হলো যে কোনো একটি উদ্দেশ্য বা কারণ সঠিক, যদিও এর সত্যতা প্রশ্নসাপেক্ষ। এটি প্রোপাগান্ডার মাধ্যমে জনগণকে প্রভাবিত করার ইঙ্গিত দিতে পারে।
18th Line:
In tones as dry and level as the place:
শুষ্ক এবং সমতল সেই ভূমির মতোই শুষ্ক কণ্ঠস্বরে।
(সারাংশ) – কণ্ঠস্বরটি ছিল অনুভূতিহীন ও একঘেয়ে, ঠিক যেমন পরিবেশটি শুষ্ক ও প্রাণহীন ছিল। এটি যান্ত্রিক এবং প্রাণহীন আদেশের প্রতীক হতে পারে।
19th Line:
No one was cheered and nothing was discussed;
কেউ উল্লাস করল না, কিছুই আলোচনা হলো না।
(সারাংশ) – বক্তব্য দেওয়া হলেও কেউ এতে উচ্ছ্বসিত হয়নি বা তর্ক-বিতর্ক করল না, যা নির্দেশিত বাস্তবতার নিঃসাড় গ্রহণযোগ্যতাকে বোঝায়।
20th Line:
Column by column in a cloud of dust
ধূলোর মেঘের মধ্যে সারি সারি করে।
(সারাংশ) – মানুষজন দলবদ্ধভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, যেন তারা কোনো নিয়ন্ত্রণহীন শক্তির দ্বারা পরিচালিত। ধূলোর মেঘ যুদ্ধ বা বিশৃঙ্খলার ইঙ্গিতও দিতে পারে।
21st Line:
They marched away enduring a belief
তারা একটি বিশ্বাস বয়ে নিয়ে অগ্রসর হলো।
(সারাংশ) – এই মানুষগুলো হয়তো তাদের উপর আরোপিত কোনো বিশ্বাসকে ধারণ করে এগিয়ে চলেছে, যদিও তারা এটিকে হয়তো পুরোপুরি বোঝে না।
22nd Line:
Whose logic brought them, somewhere else, to grief.
যার যুক্তি শেষ পর্যন্ত তাদের কোথাও নিয়ে গেল দুঃখের মধ্যে।
(সারাংশ) – যেই বিশ্বাস বা ন্যায্যতার যুক্তি তাদের পথনির্দেশ করছিল, তা শেষ পর্যন্ত তাদের কষ্ট বা বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে গেল। এটি যুদ্ধ, প্রোপাগান্ডা বা ভুল পথে পরিচালিত সমাজের প্রতিফলন হতে পারে।
23rd Line:
She looked over his shoulder
সে তার কাঁধের ওপরে তাকাল।
(সারাংশ) – একজন নারী বা মেয়ে কারও কাঁধের ওপরে তাকিয়ে কিছু দেখার চেষ্টা করছে।
24th Line:
For ritual pieties,
ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের জন্য।
(সারাংশ) – সে ধর্মীয় ও ঐতিহ্যবাহী আনুষ্ঠানিকতা খুঁজছিল, যা সাধারণত ভক্তি বা পূজার সাথে সম্পর্কিত।
25th Line:
White flower-garlanded heifers,
সাদা ফুলের মালায় সজ্জিত বাছুরগণ।
(সারাংশ) – সে এমন দৃশ্য আশা করেছিল যেখানে বাছুরগুলো পূজার জন্য প্রস্তুত, সাদা ফুলের মালায় সজ্জিত, যা প্রাচীন বলি প্রথার অংশ হতে পারে।
26th Line:
Libation and sacrifice,
উৎসর্গ ও বলিদান।
(সারাংশ) – সে আশা করেছিল ধর্মীয় উৎসর্গের অংশ হিসেবে পানীয় উৎসর্গ (লিবেশন) ও বলিদান দেখতে পাবে।
27th Line:
But there on the shining metal
কিন্তু সেখানে চকচকে ধাতুর ওপর।
(সারাংশ) – পূজার বেদীর পরিবর্তে সে দেখল কিছু ধাতব কাঠামো, যা তার প্রত্যাশার সম্পূর্ণ বিপরীত।
28th Line:
Where the altar should have been,
যেখানে বেদী থাকার কথা ছিল।
(সারাংশ) – যেখানে ধর্মীয় অনুষ্ঠান বা বলিদানের জন্য একটি বেদী থাকার কথা, সেখানে তা নেই।
29th Line:
She saw by his flickering forge-light
সে তার দপদপে জ্বলতে থাকা কামারের আগুনের আলোয় দেখল।
(সারাংশ) – পূজার বেদীর পরিবর্তে, সে একজন কামার বা লোহার কাজ করা ব্যক্তির আগুনের আলোতে কিছু দেখল, যা সম্পূর্ণ ভিন্ন বাস্তবতার ইঙ্গিত দেয়।
30th Line:
Barbed wire enclosed an arbitrary spot
কাঁটাতার দিয়ে একটি এলোমেলো স্থান ঘেরা ছিল।
(সারাংশ) – নির্দিষ্ট কোনো কারণ ছাড়াই, একটি এলাকা কাঁটাতার দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছিল, যা হয়তো বন্দিশালা বা মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের স্থান বোঝাতে পারে।
31st Line:
Where bored officials lounged (one cracked a joke)
যেখানে বিরক্ত সরকারি কর্মকর্তারা অলসভাবে বসে ছিল (একজন রসিকতা করল)।
(সারাংশ) – কর্মকর্তারা দায়িত্বে থাকলেও তারা উদাসীন, যেন ঘটনাটির গুরুত্ব তাদের কাছে কিছুই নয়। তাদের মধ্যে একজন মজা করল, যা পরিস্থিতির নির্মমতার সঙ্গে তীব্র বৈপরীত্য তৈরি করে।
32nd Line:
And sentries sweated for the day was hot:
আর প্রহরীরা ঘামছিল, কারণ দিনটি ছিল প্রচণ্ড গরম।
(সারাংশ) – গার্ড বা প্রহরীরা তাদের দায়িত্ব পালন করছিল, কিন্তু তারা হয়তো একঘেয়ে কাজ বা আবহাওয়ার কারণে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল। এটি ঘটনাটির প্রতি আরেকটি অনুভূতিহীন দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে।
33rd Line:
A crowd of ordinary decent folk
সাধারণ ভদ্রলোকদের একটি ভিড়।
(সারাংশ) – আশেপাশে সাধারণ মানুষ জড়ো হয়েছিল, যারা হয়তো কৌতূহলী দর্শক, বা বাধ্য হয়ে এখানে উপস্থিত ছিল।
34th Line:
Watched from without and neither moved nor spoke
তারা বাইরে থেকে দেখল, কিন্তু কেউ নড়ল না বা কিছু বলল না।
(সারাংশ) – উপস্থিত জনতা কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাল না। তারা নির্বাক দর্শকের মতো দাঁড়িয়ে রইল, যা ভয়ের পরিবেশ বা সামাজিক নিষ্ক্রিয়তার প্রতিচ্ছবি হতে পারে।
35th Line:
As three pale figures were led forth and bound
তিনটি ফ্যাকাসে মুখের মানুষকে সামনে আনা হলো এবং বেঁধে ফেলা হলো।
(সারাংশ) – তিনজন বন্দিকে আনা হলো, যাদের মুখ বিবর্ণ, হয়তো ভয় বা মৃত্যুর প্রতীক্ষায়। এরপর তাদের বেঁধে ফেলা হলো, যা শাস্তির সূচনাকে বোঝায়।
36th Line:
To three posts driven upright in the ground.
তাদের মাটিতে পোঁতা তিনটি খুঁটির সঙ্গে বেঁধে দেওয়া হলো।
(সারাংশ) – তিনজন বন্দিকে কাঠের খুঁটির সঙ্গে বাঁধা হলো, যা ফায়ারিং স্কোয়াড বা প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দৃশ্য হতে পারে।
37th Line:
The mass and majesty of this world, all
এই পৃথিবীর মহত্ত্ব ও বিশালতা, সবকিছু।
(সারাংশ) – পৃথিবীর সমস্ত ক্ষমতা, মহিমা, ও গুরুত্ব এখানে বোঝানো হচ্ছে, যা সমাজের বা রাষ্ট্রের হাতে কেন্দ্রীভূত।
38th Line:
That carries weight and always weighs the same
যা ভার বহন করে এবং চিরকাল একই রকম ভারী থাকে।
(সারাংশ) – ক্ষমতা ও শাসনের দায়িত্ব বা বাস্তবতা কখনো পরিবর্তন হয় না; এটি সর্বদা কিছু নির্দিষ্ট শক্তির হাতে থাকে।
39th Line:
Lay in the hands of others; they were small
অন্যদের হাতে ছিল; তারা ছিল ক্ষুদ্র ও দুর্বল।
(সারাংশ) – সাধারণ জনগণের ভাগ্য ছিল ক্ষমতাবানদের হাতে, কিন্তু জনগণ নিজেরা অসহায় ও দুর্বল ছিল।
40th Line:
And could not hope for help and no help came:
তারা সাহায্যের আশা করতে পারত না, এবং কোনো সাহায্য এলও না।
(সারাংশ) – তারা এমন এক পরিস্থিতিতে ছিল যেখানে সাহায্য পাওয়ার আশা ছিল অবান্তর, এবং কেউ তাদের সাহায্য করল না।
41st Line:
What their foes liked to do was done, their shame
তাদের শত্রুরা যা ইচ্ছা করল, তাই করা হলো, তাদের লজ্জা।
(সারাংশ) – তাদের শত্রুরা যা চেয়েছিল তাই করতে পারল, আর তাদের (বন্দিদের) জন্য এটি ছিল অপমানজনক ও লজ্জাজনক।
42nd Line:
Was all the worst could wish; they lost their pride
যা সর্বনিম্ন অপমান হতে পারত, তারা তাদের গৌরব হারাল।
(সারাংশ) – তাদের প্রতি এমন অন্যায় করা হলো যা সবচেয়ে দুর্বিষহ ছিল, এবং এতে তারা তাদের সম্মান হারিয়ে ফেলল।
43rd Line:
And died as men before their bodies died.
আর তারা দেহের মৃত্যু ঘটার আগেই মানুষ হিসেবে মারা গেল।
(সারাংশ) – শারীরিকভাবে মারা যাওয়ার আগেই তাদের মানসিক ও আত্মিক মৃত্যু ঘটে, হয়তো অপমান, ভয়, বা নিপীড়নের কারণে।
44th Line:
She looked over his shoulder
সে তার কাঁধের ওপরে তাকাল।
(সারাংশ) – একজন নারী বা মেয়ে কারও কাঁধের ওপরে তাকিয়ে কিছু খোঁজার চেষ্টা করছে।
45th Line:
For athletes at their games,
ক্রীড়াবিদদের তাদের খেলায় দেখার জন্য।
(সারাংশ) – সে আশা করেছিল খেলাধুলার একটি চমৎকার দৃশ্য দেখতে পাবে, যেখানে অ্যাথলেটরা প্রতিযোগিতা করছে।
46th Line:
Men and women in a dance
পুরুষ ও নারীরা একসঙ্গে নৃত্যে মগ্ন।
(সারাংশ) – সে এমন দৃশ্য আশা করেছিল যেখানে মানুষ নাচছে, যা আনন্দ ও জীবনের উদযাপন বোঝায়।
47th Line:
Moving their sweet limbs
তারা তাদের কোমল অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নাড়াচ্ছে।
(সারাংশ) – মানুষগুলো সুরের তালে তালে আনন্দের সঙ্গে নাচছে, যা সৌন্দর্য ও ক্রীড়াশীলতার প্রতীক।
48th Line:
Quick, quick, to music,
সুরের তালে দ্রুত, দ্রুত নড়াচড়া করছে।
(সারাংশ) – সঙ্গীতের সাথে দ্রুত ছন্দে নৃত্য করার চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
49th Line:
But there on the shining shield
কিন্তু সেখানে চকচকে ঢালে।
(সারাংশ) – যেখানে সে এই আনন্দময় দৃশ্য আশা করেছিল, সেখানে অন্য কিছু দেখতে পেল।
50th Line:
His hands had set no dancing-floor
তার (শিল্পীর) হাতে কোনো নৃত্যের মঞ্চ তৈরি হয়নি।
(সারাংশ) – সেই দৃশ্যটি বাস্তবে নেই; তার পরিবর্তে অন্য কিছু আঁকা বা তৈরি করা হয়েছে।
51st Line:
But a weed-choked field.
বরং আগাছায় ভরা এক উজাড় ক্ষেত্র।
(সারাংশ) – নাচ ও জীবনের আনন্দের পরিবর্তে, সেখানে কেবল পরিত্যক্ত, আগাছায় ঢাকা এক মরা জমি দেখা গেল। এটি যুদ্ধ, ধ্বংস, বা শূন্যতার প্রতীক হতে পারে।
52nd Line:
A ragged urchin, aimless and alone,
একজন ছেঁড়াফাটা পোশাক পরা ছেলেশিশু, লক্ষ্যহীন ও একা।
(সারাংশ) – একটি দরিদ্র ও ভবঘুরে ছেলে সম্পূর্ণ একা ঘুরে বেড়াচ্ছে, যার জীবনে কোনো নির্দিষ্ট দিশা বা লক্ষ্য নেই।
53rd Line:
Loitered about that vacancy; a bird
সে সেই ফাঁকা জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছিল; একটি পাখি।
(সারাংশ) – সেই শিশু কোনো নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য ছাড়াই পরিত্যক্ত বা শূন্য কোনো স্থানে সময় কাটাচ্ছিল, এবং সেখানে একটি পাখিও ছিল।
54th Line:
Flew up to safety from his well-aimed stone:
তার নিখুঁতভাবে ছোড়া পাথর থেকে নিরাপদে উড়ে গেল পাখিটি।
(সারাংশ) – সেই শিশু একটি পাথর ছুঁড়েছিল, কিন্তু পাখিটি দ্রুত উড়ে গিয়ে নিজেকে রক্ষা করল। এটি তার পরিস্থিতির প্রতীক হতে পারে—সে ক্ষোভ বা হতাশা থেকে কিছু ধ্বংস করতে চেয়েছিল, কিন্তু ব্যর্থ হলো।
55th Line:
That girls are raped, that two boys knife a third,
যে মেয়েরা ধর্ষণের শিকার হয়, যে দুই ছেলেতে মিলে তৃতীয় ছেলেকে ছুরি মারে।
(সারাংশ) – এই ছেলেটির দৃষ্টিতে এই নিষ্ঠুরতাগুলো স্বাভাবিক ঘটনা, কারণ সে এমন পরিবেশে বেড়ে উঠেছে যেখানে সহিংসতা ও বর্বরতা দৈনন্দিন বাস্তবতা।
56th Line:
Were axioms to him, who'd never heard
এসব তার কাছে সত্যের মতো স্পষ্ট ছিল, কারণ সে কখনও শোনেনি।
(সারাংশ) – তার কাছে এই নিষ্ঠুর ঘটনাগুলো একেবারে সাধারণ ও বাস্তবসম্মত, কারণ সে কখনো এমন এক পৃথিবীর কথা শোনেনি যেখানে মানুষ ন্যায়বিচার পায় বা দয়া করে।
57th Line:
Of any world where promises were kept,
কোনো এমন পৃথিবীর কথা, যেখানে প্রতিশ্রুতি রাখা হয়।
(সারাংশ) – সে কখনো এমন একটি সমাজ দেখেনি বা জানেনি যেখানে মানুষ তাদের কথা রাখে, যেখানে বিশ্বাসযোগ্যতা ও সততা আছে।
58th Line:
Or one could weep because another wept.
অথবা কেউ কাঁদতে পারে, কারণ অন্য কেউ কেঁদেছে।
(সারাংশ) – সে এমন একটি সমাজ কখনো দেখেনি যেখানে সহানুভূতি আছে, যেখানে কেউ অন্যের দুঃখে কষ্ট পায় বা কাঁদে। তার কাছে মানবিক মূল্যবোধ অপরিচিত।
59th Line:
The thin-lipped armorer,
পাতলা ঠোঁটওয়ালা অস্ত্র নির্মাতা,
(সারাংশ) – এখানে এক অস্ত্র নির্মাতার কথা বলা হচ্ছে, যার ঠোঁট সরু বা চাপা। এটি তার কঠোরতা বা একরোখা স্বভাবের ইঙ্গিত হতে পারে।
60th Line:
Hephaestos, hobbled away,
হেফেস্টাস, খোঁড়াতে খোঁড়াতে সরে গেল।
(সারাংশ) – হেফেস্টাস, যিনি গ্রিক পুরাণের আগুন ও ধাতুর দেবতা এবং এক দক্ষ অস্ত্র নির্মাতা, তিনি খোঁড়াতে খোঁড়াতে চলে গেলেন। পুরাণ অনুযায়ী, তিনি পঙ্গু ছিলেন।
61st Line:
Thetis of the shining breasts
উজ্জ্বল বক্ষবিশিষ্ট থেটিস,
(সারাংশ) – থেটিস একজন সমুদ্র দেবী এবং অ্যাকিলিসের মা। তার সৌন্দর্যের বিশেষ উল্লেখ করা হয়েছে, যা তাকে দেবতাদের মাঝে স্বতন্ত্র করে তোলে।
62nd Line:
Cried out in dismay
হতাশায় চিৎকার করে উঠলেন।
(সারাংশ) – থেটিস কোনো কিছু দেখে গভীর হতাশায় চিৎকার করে উঠলেন, সম্ভবত সেই ঢাল দেখে যা হেফেস্টাস তৈরি করেছিলেন।
63rd Line:
At what the god had wrought
যা দেবতা তৈরি করেছিলেন তা দেখে।
(সারাংশ) – থেটিস হতাশ হলেন হেফেস্টাসের তৈরি করা অস্ত্র বা ঢাল দেখে, কারণ সেটি হয়তো এক ভয়ংকর ভবিষ্যতের ইঙ্গিত বহন করছিল।
64th Line:
To please her son, the strong
তার পুত্রকে খুশি করতে, যে শক্তিশালী।
(সারাংশ) – হেফেস্টাস এই অস্ত্র বা ঢাল তৈরি করেছিলেন থেটিসের পুত্র, অ্যাকিলিসকে খুশি করার জন্য।
65th Line:
Iron-hearted man-slaying Achilles
লোহা-হৃদয়, মানুষ হত্যাকারী অ্যাকিলিস।
(সারাংশ) – অ্যাকিলিস এক নিষ্ঠুর ও নির্দয় যোদ্ধা, যার হৃদয় কঠোর এবং যুদ্ধক্ষেত্রে সে অসংখ্য মানুষ হত্যা করেছে।
66th Line:
Who would not live long.
যে বেশি দিন বাঁচবে না।
(সারাংশ) – অ্যাকিলিসের অকালমৃত্যুর ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে। যদিও সে এক অপ্রতিরোধ্য যোদ্ধা, কিন্তু তার জীবন সংক্ষিপ্ত হবে।
এই অংশটি গ্রিক পুরাণের বিখ্যাত চরিত্র অ্যাকিলিস ও তার মা থেটিসকে কেন্দ্র করে রচিত। থেটিস তার পুত্র অ্যাকিলিসের জন্য হেফেস্টাসকে একটি ঢাল ও অস্ত্র বানাতে বলেছিলেন। কিন্তু যখন তিনি সেই অস্ত্র দেখেন, তখন তার মনে এক অজানা শঙ্কা ভর করে।অ্যাকিলিসকে এখানে "Iron-hearted man-slaying" বলা হয়েছে, যা তার নির্মম ও অকুতোভয় যোদ্ধা রূপের পরিচয় বহন করে। কিন্তু শেষ লাইনটি তার ট্র্যাজিক পরিণতির ইঙ্গিত দেয়—এই মহাবীর দীর্ঘদিন বেঁচে থাকবে না। এটি ইলিয়াড মহাকাব্যের সেই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর একটি, যেখানে বলা হয় যে অ্যাকিলিস যদি যুদ্ধে যোগ দেয়, তবে সে তরুণ বয়সেই মারা যাবে।
এই কবিতাংশ যুদ্ধের নিষ্ঠুরতা, মাতৃস্নেহের হতাশা, ও বীরত্বের সংক্ষিপ্ত জীবনের করুণ বাস্তবতা ফুটিয়ে তোলে।