সীমাস জাস্টিন হীনি (Seamus Justin Heaney) MRIA ছিলেন একজন আইরিশ কবি, নাট্যকার এবং অনুবাদক। তিনি ১৯৯৫ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তার সর্বাধিক পরিচিত রচনাগুলোর মধ্যে অন্যতম "Death of a Naturalist", যা ছিল তার প্রথম প্রধান প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ।
জন্ম: ১৩ এপ্রিল, ১৯৩৯, ক্যাসলডসন, যুক্তরাজ্য
মৃত্যু: ৩০ আগস্ট, ২০১৩ (বয়স ৭৪), ব্ল্যাকরক হেলথ ব্ল্যাকরক ক্লিনিক - প্রাইভেট হাসপাতাল, ডাবলিন, আয়ারল্যান্ড
প্রভাবিত হয়েছেন: উইলিয়াম বাটলার ইয়েটস, উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থ ইত্যাদি।
এই কবিতায়, হীনি একজন কামারের কর্মশালা—যেখানে আগুন, লোহা, হাতুড়ির শব্দ এবং কঠোর পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে সৃষ্টি হয়—তার এক চিত্রময় ও প্রতীকী বর্ণনা দেন। এটি কেবল লৌহশিল্পেরই নয়, বরং যে কোনো সৃষ্টিশীল প্রক্রিয়ার এক রূপক। কবিতায় হীনির ভাষা ও চিত্রকল্প অত্যন্ত শক্তিশালী, যা পাঠকের মনে এক রহস্যময়, প্রাগৈতিহাসিক শিল্পের অনুভূতি এনে দেয়।
এই কবিতা কেবল এক পেশার বর্ণনা নয়, বরং এটি সৃষ্টিশীলতার এক গভীর প্রতিচ্ছবি, যেখানে পুরনো ও নতুনের সংঘাত, পরিশ্রম ও সৃষ্টির সৌন্দর্য একসাথে মিশে আছে।
পরEventually, narrator প্রথমে অ্যাভিলটিকে দেখতে পান না, বরং মনে মনে কল্পনা করেন। তিনি কল্পনায় এটিকে ঘরের কেন্দ্রে অবস্থিত মনে করেন এবং এটিকে একটি "শিংওয়ালা... ইউনিকর্ন" (horned...unicorn)-এর মতো মনে হয়।
কবিতাটি শেষ ছয় লাইনে (sextet) "altar" শব্দটির মাধ্যমে মোড় নেয়, যা ইঙ্গিত দেয় যে এই শব্দটি কবিতার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শব্দগুলোর একটি এবং যে ঘরটি বর্ণনা করা হচ্ছে, সেটি এক পবিত্র স্থান।
এই শেষ অংশে, বর্ণনাকারী কল্পনা করেন এবং বর্ণনা করেন একজন কামারকে (blacksmith), যিনি চামড়ার এপ্রোন পরিহিত, নাকে গজানো রুক্ষ লোমওয়ালা এক ব্যক্তি ("leather aproned, hairs in his nose")। এটি লক্ষণীয় যে, বর্ণনাকারী কোনো নির্দিষ্ট মুহূর্ত চিত্রিত করছেন না; বরং তিনি কামারকে তার স্বাভাবিক অবস্থায়, বিভিন্ন ভঙ্গিমায় কল্পনা করছেন—একদিকে তিনি অতীতের সেই দিনগুলোর কথা ভাবছেন যখন ঘোড়ার খুর তৈরি ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং তার কাজের যথেষ্ট কদর ছিল। অন্যদিকে তিনি কামারকে কল্পনা করছেন, যখন তিনি তার কাজের মধ্যে নিমগ্ন—ঘর্মাক্ত, গম্ভীর স্বরে গর্জনরত, হাতুড়ি চালিয়ে যাচ্ছেন, অ্যাভিলের ওপর লোহা পেটাচ্ছেন, বেলো চালাচ্ছেন।
এইভাবে, কবিতার বক্তা একাধারে কামারকে একজন চিন্তাশীল ব্যক্তি ও কঠোর পরিশ্রমী কারিগর হিসেবে চিত্রিত করেন। তিনি এমন একটি শিল্পের সৌন্দর্য তুলে ধরেন যা আধুনিক যুগে প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে।
English-to-Bangla Line-by-Line Translation with Bangla Summary :
1. All I know is a door into the dark.
আমি যা জানি, তা হলো অন্ধকারে খোলা একটি দরজা।
2. Outside, old axles and iron hoops rusting;
বাইরে, পুরনো অ্যাক্সেল ও লোহার বলয়গুলো মরিচা পড়ছে;
3. Inside, the hammered anvil’s short-pitched ring,
ভেতরে, পেটানো নেভিলের সংক্ষিপ্ত ধ্বনির প্রতিধ্বনি,
4. The unpredictable fantail of sparks
অপ্রত্যাশিত স্ফুলিঙ্গের পাখার মতো বিস্ফোরণ
5. Or hiss when a new shoe toughens in water.
অথবা নতুন ঘোড়ার নাল পানিতে ঠান্ডা হলে শোঁ শোঁ শব্দ।
6. The anvil must be somewhere in the centre,
নেভিলটি নিশ্চয়ই কোথাও কেন্দ্রে রয়েছে,
7. Horned as a unicorn, at one end and square,
এক প্রান্তে গণ্ডারের শিংয়ের মতো, অন্য প্রান্তে চৌকো,
8. Set there immoveable: an altar
অবিচল স্থাপিত: যেন এক পূজার বেদি,
9. Where he expends himself in shape and music.
যেখানে সে নিজেকে ঢেলে দেয় আকার ও সুর তৈরিতে।
10. Sometimes, leather-aproned, hairs in his nose,
কখনো, চামড়ার অ্যাপ্রন পরে, নাকে চুল গজিয়ে,
11. He leans out on the jamb, recalls a clatter
সে দরজার চৌকাঠে হেলে পড়ে, মনে করে একসময়কার
12. Of hoofs where traffic is flashing in rows;
ঘোড়ার খুরের শব্দ, যেখানে এখন গাড়ির সারি ঝলমল করে চলছে;
13. Then grunts and goes in, with a slam and flick
তারপর গোঁ গোঁ শব্দ করে ভেতরে ঢুকে পড়ে, দরজা ধাক্কা দিয়ে বন্ধ করে,
14. To beat real iron out, to work the bellows.
আসল লোহা পেটাতে, ধাতু গলানোর ধোঁয়া তুলতে।
এই কবিতায় কবি লোহার কারিগরের কর্মশালার বর্ণনা দিয়েছেন, যা আধুনিক সময়ের পরিবর্তনের প্রতিচ্ছবি।
প্রথম লাইনেই কবি "অন্ধকারে খোলা দরজা" বলে রহস্যময় এক অনুভূতি তৈরি করেন, যা কারখানার পুরনো, ধাতব, সময়ের সাথে ক্ষয়ে যাওয়া পরিবেশকে বোঝায়। বাইরের মরিচা ধরা লোহা আর ভেতরের আগুনের স্ফুলিঙ্গ একে জীবন্ত করে তোলে।
নেভিলটি কর্মশালার কেন্দ্রবিন্দু, যা স্থির, শক্তিশালী, এবং পুরোহিতের বেদির মতো, যেখানে কারিগর তার শ্রম ও শিল্পের মেলবন্ধন ঘটায়।
একসময় যেখানে ঘোড়ার খুরের শব্দ ছিল, সেখানে এখন ট্রাফিকের কোলাহল—এটি সময়ের পরিবর্তন ও পুরোনো পেশার ক্রমশ হারিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দেয়।
শেষ অংশে, কারিগর পুরনো স্মৃতি ভুলে আবার নিজের কাজে মন দেয়—আসল লোহা পেটায়, আগুন জ্বালিয়ে ধাতু গলানোর কাজে ফিরে যায়। এটি ঐতিহ্য, শ্রম ও পরিবর্তনের এক গভীর প্রতিচ্ছবি।