উইস্টান হিউ অডেন (Wystan Hugh Auden) ছিলেন একজন ব্রিটিশ-আমেরিকান কবি। তাঁর কবিতা শৈল্পিক ও প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতার জন্য প্রসিদ্ধ, পাশাপাশি এটি রাজনীতি, নৈতিকতা, প্রেম, ধর্ম ইত্যাদির প্রতি গভীর মনোযোগ প্রদান করে। তাঁর রচনায় স্বরের বৈচিত্র্য, ছন্দ ও বিন্যাসের বহুমুখিতা লক্ষ্য করা যায়।
জন্ম: ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯০৭; ইয়র্ক, যুক্তরাজ্য
মৃত্যু: ২৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৩ (বয়স ৬৬); ভিয়েনা, অস্ট্রিয়া
সম্পূর্ণ নাম: উইস্টান হিউ অডেন
প্রভাবিত করেছেন: টি. এস. এলিয়ট, ক্রিস্টোফার ইশারউড, জন ডান প্রভৃতি
" Petition " Introduction: ডব্লিউ. এইচ. ওডেনের কবিতা "Petition" হল একটি প্রার্থনা, যেখানে তিনি এক উচ্চতর শক্তির কাছে দিকনির্দেশনা এবং হস্তক্ষেপের জন্য আবেদন জানান। কবিতাটি ১৯৩৯ সালে ওডেনের সংকলন Another Time-এ প্রকাশিত হয়।
দোষবোধ, ক্ষমা ও পরিত্রাণ
কবিতাটি এই বিষয়গুলোর অনুসন্ধান করে, যেখানে "ভীতুর অবস্থান" সংশোধনের আহ্বান জানানো হয়েছে এবং যারা ক্ষতি করে, তাদের প্রকাশ্যে আনার কথা বলা হয়েছে।
আধ্যাত্মিক শান্তি
কবিতাটি "শক্তি ও আলো" এবং "সার্বভৌম স্পর্শ" চায়, যা মানবতার দুঃখ-কষ্ট সারিয়ে তুলতে পারে।
নৈতিক সততা
কবিতায় "ভীতুর অবস্থান" সংশোধন এবং ক্ষতিকারীদের প্রকাশ্যে আনার আহ্বান জানিয়ে নৈতিকতার প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
যাই হোক না কেন, সিরিল র্যাডক্লিফ যখন প্রথম তার কাজ শুরু করেছিলেন, তখন তিনি অবশ্যই নিরপেক্ষ ছিলেন, কারণ তিনি কখনোই সেই অঞ্চলে যাননি, যা বিভক্ত করার দায়িত্ব তাকে দেওয়া হয়েছিল (ভারত)। তাকে দুই সংস্কৃতির (অর্থাৎ, হিন্দু ও মুসলমানদের) মধ্যে সীমান্ত টানতে হতো, যারা সম্পূর্ণ ভিন্ন খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করত এবং পরস্পরের বিপরীত ধর্ম পালন করত, তাও এমন এক সময়ে, যখন সেখানে তীব্র সংঘর্ষ চলছিল। লন্ডনে বসে সরকার তাকে জানিয়ে দিয়েছিল যে সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ; কোনোভাবেই দুই পক্ষের মধ্যে বোঝাপড়ার আশা করা যাবে না, এমনকি যৌক্তিক আলোচনাও সম্ভব নয়। তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে একমাত্র সমাধান হলো ভারতকে দুইটি পৃথক দেশে ভাগ করা। গভর্নর মনে করেছিলেন, র্যাডক্লিফের সঙ্গে প্রকাশ্যে দেখা করাটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না, তাই তার থাকার জন্য অন্য ব্যবস্থা করা হয়। তাকে জানানো হয়েছিল যে দুইজন মুসলিম বিচারপতি ও দুইজন হিন্দু বিচারপতি তাকে পরামর্শ দেবেন, কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তার হাতেই থাকবে।
একটি বিশাল, নির্জন বাড়িতে তাকে আটকে রাখা হয়েছিল, যেখানে দৈনিক পাহারার ব্যবস্থা ছিল, যাতে কেউ তাকে হত্যা করার চেষ্টা না করে। এই বিচ্ছিন্ন পরিবেশে লক্ষ লক্ষ মানুষের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের কাজ শুরু করেন তিনি। যে মানচিত্রগুলো তাকে দেওয়া হয়েছিল, সেগুলো ছিল পুরনো, এবং আদমশুমারির তথ্যও সঠিক নয় বলে মনে হচ্ছিল, কিন্তু নতুন করে সংখ্যা যাচাই বা বিতর্কিত স্থানগুলো ঘুরে দেখার জন্য তার হাতে সময় ছিল না। তার অভ্যস্ত আবহাওয়ার তুলনায় এখানকার গরম অনেক বেশি ছিল, এবং ডায়রিয়ার প্রকোপে তাকে বারবার টয়লেটে ছুটতে হচ্ছিল। তবুও, মাত্র সাত সপ্তাহে তিনি তার কাজ শেষ করলেন—ভারত ও পাকিস্তানের সীমানা চূড়ান্ত হলো, এবং এক মহাদেশ বিভক্ত হয়ে গেল।
কাজ শেষ হতেই তিনি একটি জাহাজে উঠে ইংল্যান্ড ফিরে গেলেন এবং একজন দক্ষ আইনজীবীর মতো পুরো বিষয়টি সহজেই ভুলে গেলেন। তিনি আর কখনোই ওই অঞ্চলে ফিরে যাবেন না, কারণ তিনি তার ক্লাবের অন্যদের বলেছিলেন যে, তিনি সেখানে গেলে তাকে হত্যা করা হতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা করেন।
Line by Line Translation and Bangla Summary:
1st Line:
Sir, no man's enemy, forgiving all
হে মহোদয়, কারও শত্রু নন, সকলকে ক্ষমা করেন।
(সারাংশ) – এখানে একজন মহৎ ব্যক্তির প্রতি সম্বোধন করা হয়েছে, যিনি কারও শত্রু নন এবং সবার প্রতি ক্ষমাশীল।
2nd Line:
But will his negative inversion, be prodigal:
কিন্তু তার নেতিবাচক বিপরীত দিক হবে অপব্যয়ী।
(সারাংশ) – এটি বোঝাতে পারে যে ক্ষমাশীল হলেও, তার অন্য একটি দিক আছে, যা হয়তো অতিরিক্ত বা অপব্যয়ী হতে পারে।
3rd Line:
Send to us power and light, a sovereign touch
আমাদের শক্তি ও আলো পাঠান, এক মহিমান্বিত স্পর্শ।
(সারাংশ) – কবি যেন শক্তি ও জ্ঞানের আলোর জন্য প্রার্থনা করছেন, যা আমাদের পথ দেখাবে।
4th Line:
Curing the intolerable neural itch,
সহ্যহীন স্নায়ুর অস্থিরতা নিরাময় করার জন্য।
(সারাংশ) – এটি হয়তো শারীরিক বা মানসিক অস্থিরতার প্রতীক, যা নিরাময়ের জন্য কবি আহ্বান জানাচ্ছেন।
5th Line:
The exhaustion of weaning, the liar's quinsy,
দুধ ছাড়ানোর ক্লান্তি, মিথ্যাবাদীর গলার রোগ।
(সারাংশ) – প্রথম অংশ শিশুদের মায়ের দুধ ছাড়ানোর কষ্ট বোঝাতে পারে, আর দ্বিতীয় অংশ মিথ্যাবাদীদের শারীরিক ও নৈতিক রোগের প্রতি ইঙ্গিত করতে পারে।
6th Line:
And the distortions of ingrown virginity.
এবং বিকৃত রূপে বেড়ে ওঠা সতীত্বের সমস্যা।
(সারাংশ) – এখানে এমন এক সতীত্ব বা বিশুদ্ধতার কথা বলা হচ্ছে, যা বিকৃত দৃষ্টিভঙ্গির কারণে সীমাবদ্ধতায় পরিণত হয়েছে।
7th Line:
Prohibit sharply the rehearsed response
পূর্বপ্রস্তুত উত্তরের উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করুন।
(সারাংশ) – অন্ধভাবে মুখস্থ করা উত্তর বা চিন্তাহীন প্রতিক্রিয়াকে দমন করার আহ্বান জানানো হচ্ছে।
8th Line:
And gradually correct the coward's stance;
এবং ধীরে ধীরে কাপুরুষের অবস্থান সংশোধন করুন।
(সারাংশ) – ভীরুতা ও দুর্বলতাকে কাটিয়ে সাহসী মনোভাব গড়ে তোলার জন্য ধাপে ধাপে পরিবর্তনের আহ্বান।
9th Line:
Cover in time with beams those in retreat
সময়ের সাথে সাথে পশ্চাদপসরণকারীদের আলো দিয়ে আবৃত করুন।
(সারাংশ) – যারা পিছু হটছে, তাদের পুনরায় আলোকিত করে সামনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করুন।
10th Line:
That, spotted, they turn though the reverse were great;
যেন, আবিষ্কৃত হওয়ার পরও তারা ফিরে আসে, যদিও বাধা বিরাট।
(সারাংশ) – এটি বোঝাতে পারে যে, সত্যের মুখোমুখি হয়ে তারা সঠিক পথে ফিরে আসতে পারে, যদিও প্রতিকূলতা বিশাল।
11th Line:
Publish each healer that in city lives
শহরে বসবাসরত প্রতিটি নিরাময়কারীকে প্রকাশ করুন।
(সারাংশ) – সমাজের সকল নিরাময়কারী বা সংস্কারককে স্বীকৃতি দেয়ার আহ্বান।
12th Line:
Or country houses at the end of drives;
বা যারা শহরের প্রান্তের গ্রামীণ বাড়িতে বসবাস করেন।
(সারাংশ) – শুধু শহরের নয়, গ্রামে বা প্রত্যন্ত অঞ্চলে থাকা জ্ঞানী ও নিরাময়কারীদেরও স্বীকৃতি দেয়া উচিত।
13th Line:
Harrow the house of the dead; look shining at
মৃতদের ঘর চষে ফেলুন; উজ্জ্বল দৃষ্টিতে তাকান।
(সারাংশ) – অতীতের ভুল ও ইতিহাসকে গভীরভাবে বিশ্লেষণ করুন, এবং ভবিষ্যতের প্রতি নতুন আলোকিত দৃষ্টি নিন।
14th Line:
New styles of architecture, a change of heart.
নতুন ধরনের স্থাপত্য, এবং হৃদয়ের পরিবর্তন।
(সারাংশ) – সমাজ ও সংস্কৃতির কাঠামো পরিবর্তন করুন, এবং মানুষের মনোভাব ও দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন আনুন।
এই কবিতাটি মানবতার জন্য এক ধরনের আবেদন, যেখানে কবি ক্ষমা, আলো, শক্তি, ও পরিবর্তনের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি মিথ্যা, কাপুরুষতা, ও সীমাবদ্ধতাকে পরিত্যাগ করে একটি নতুন সমাজ গঠনের কথা বলছেন, যেখানে নিরাময়কারী ও জ্ঞানীরা স্বীকৃতি পাবে, এবং অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতের জন্য একটি নতুন কাঠামো তৈরি হবে।
এটি শুধুমাত্র শারীরিক নিরাময় নয়, বরং মানসিক, নৈতিক, ও সামাজিক পুনর্গঠনের আহ্বানও হতে পারে।