উইলিয়াম বাটলার ইয়েটস (1865–1939) ছিলেন একজন আইরিশ কবি, নাট্যকার এবং বিশ শতকের সাহিত্যের অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব। ডাবলিনে জন্মগ্রহণ করে, তিনি তাঁর শৈশবের একটি বড় অংশ স্লিগোতে কাটান, যা তাঁর কবিতায় গভীরভাবে প্রভাব ফেলেছিল। ইয়েটস ছিলেন আইরিশ সাহিত্য পুনর্জাগরণের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং অ্যাবি থিয়েটারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর কবিতা রোমান্টিক ও আইরিশ লোককাহিনির বিষয়বস্তু থেকে আধুনিক ও প্রতীকবাদী শৈলীতে বিকশিত হয়। ১৯২৩ সালে, তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন তাঁর অনুপ্রাণিত কবিতার জন্য, যা আইরিশ চেতনাকে প্রকাশ করেছিল। তাঁর পরবর্তী রচনাগুলো অধিবিদ্যা, রাজনীতি এবং ব্যক্তিগত দর্শনের বিষয়বস্তু প্রতিফলিত করে। তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত কবিতাগুলোর মধ্যে রয়েছে The Second Coming, Sailing to Byzantium, এবং The Lake Isle of Innisfree।
কবিতার প্রথম স্তবক এক বিশৃঙ্খল, বিভ্রান্তি ও যন্ত্রণায় পরিপূর্ণ বিশ্বের চিত্র অঙ্কন করে। দ্বিতীয়, দীর্ঘতর স্তবকে, বক্তা ভবিষ্যতের একটি দর্শন লাভ করেন, কিন্তু সেই দর্শনে যিশুর গৌরবময় প্রত্যাবর্তনের পরিবর্তে এক বিকৃত, ভয়ঙ্কর দানবের আবির্ভাব ঘটে। এর অনন্য চিত্রকল্প এবং সমাজের পতনের জীবন্ত বিবরণের জন্য, "দ্য সেকেন্ড কামিং" ইয়েটসের অন্যতম বহুল উদ্ধৃত কবিতা।
কোনো না কোনো ধরনের প্রকাশ আসতে চলেছে, এবং "দ্বিতীয় আগমন" অতি নিকটে। উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে বক্তা ঘোষণা করেন: "দ্বিতীয় আগমন!" কিন্তু ঠিক তখনই, বক্তার সামনে এক রহস্যময় দৃষ্টি উদ্ভাসিত হয়, যেন বিশ্বের সম্মিলিত অবচেতন মন থেকে উঠে আসা এক ভবিষ্যদর্শন। তিনি এক শুষ্ক মরুপ্রান্তরে এক ভয়ঙ্কর সত্তাকে আবির্ভূত হতে দেখেন—যার মানুষের মাথা আর সিংহের শরীর। তার দৃষ্টি নির্দয়, যেন প্রখর সূর্যের মতো ফাঁকা ও অনুভূতিহীন। তার ভারী পদক্ষেপ ধীরগতি, আর চারদিকে উড়ে বেড়াচ্ছে বিঘ্নিত মরুভূমির পাখিরা।
তারপর সবকিছু আবারও অন্ধকারে তলিয়ে যায়, কিন্তু বক্তা এখন একটি নতুন উপলব্ধিতে পৌঁছান: দুই হাজার বছরের শান্তি একবারে ভেঙে পড়েছে দোলনার কাঁপনে। বক্তা প্রশ্ন করেন: কোন সে দানব, যার সময় অবশেষে এসেছে? কোন বিভীষিকাময় সত্তা নিজেকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে বেথলেহেমের দিকে, যেখানে তার জন্ম হবে?.
Lines 1-2:
"Turning and turning in the widening gyre / The falcon cannot hear the falconer;"
The world is spiraling out of control, symbolized by a falcon that has flown too far from its master and can no longer hear his commands.
"ঘূর্ণাবর্তের বৃত্ত বড় হতে হতে ঘুরছে / বাজপাখি তার প্রশিক্ষকের কথা শুনতে পাচ্ছে না;"
বিশ্ব বিশৃঙ্খলার মধ্যে পতিত হচ্ছে, যেন একটি বাজপাখি এত দূরে চলে গেছে যে আর তার মালিকের নির্দেশ শুনতে পাচ্ছে না।
Lines 3-4:
"Things fall apart; the centre cannot hold; / Mere anarchy is loosed upon the world,"
Society is collapsing, and the core values that once held it together are breaking down, leading to complete chaos.
"সবকিছু ভেঙে পড়ছে; কেন্দ্র আর ধরে রাখতে পারছে না; / বিশুদ্ধ বিশৃঙ্খলা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে,"
সমাজ ভেঙে পড়ছে, এবং যে ভিত্তিগুলো এটিকে ধরে রেখেছিল, সেগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, ফলে সর্বত্র বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ছে।
Lines 5-6:
"The blood-dimmed tide is loosed, and everywhere / The ceremony of innocence is drowned;"
Violence and destruction have spread across the world, and innocence is being destroyed in this tide of bloodshed.
"রক্তে ঢাকা জোয়ার ছেয়ে গেছে, আর সর্বত্র / নির্দোষতার উৎসব ডুবে যাচ্ছে;"
হিংসা ও ধ্বংস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে, আর এই রক্তাক্ত স্রোতে নিষ্পাপতাও হারিয়ে যাচ্ছে।
Lines 7-8:
"The best lack all conviction, while the worst / Are full of passionate intensity."
Good people are powerless and hesitant, while evil people are confident and determined in their actions.
"সেরা মানুষরা বিশ্বাস হারিয়েছে, আর সবচেয়ে খারাপেরা / প্রবল আবেগ ও দৃঢ়তার সঙ্গে কাজ করছে।"
ভালো মানুষরা দিশেহারা, অথচ খারাপ মানুষরা প্রবল আত্মবিশ্বাস নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
Lines 9-10:
"Surely some revelation is at hand; / Surely the Second Coming is at hand."
The poet feels that something profound is about to happen, perhaps a major transformation or an apocalypse.
"নিশ্চয়ই কোনো মহাসত্য প্রকাশিত হতে চলেছে; / নিশ্চিতভাবেই দ্বিতীয় আগমনের সময় এসে গেছে।"
কবি অনুভব করছেন যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটতে চলেছে, হয়তো কোনো মহাপরিবর্তন বা ধ্বংস আসন্ন।
Lines 11-13:
"The Second Coming! Hardly are those words out / When a vast image out of Spiritus Mundi / Troubles my sight:"
As soon as the poet thinks of the Second Coming, a terrifying vision from the collective spirit of humanity appears before his eyes.
"দ্বিতীয় আগমন! এই শব্দগুলো উচ্চারণ করার পরপরই / মানবজাতির চেতনার গভীর থেকে এক বিশাল দৃশ্য / আমার দৃষ্টিকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে।"
যখন কবি দ্বিতীয় আগমনের কথা ভাবেন, তখনই তার সামনে এক ভয়ঙ্কর দৃশ্য ভেসে ওঠে।
Lines 14-16:
"Somewhere in sands of the desert / A shape with lion body and the head of a man, / A gaze blank and pitiless as the sun,"
In the desert, the poet sees a monstrous creature with the body of a lion and the head of a man, with a cruel and emotionless gaze.
"মরুভূমির কোথাও / এক আকৃতি দাঁড়িয়ে আছে, যার দেহ সিংহের এবং মাথা মানুষের, / যার দৃষ্টি শূন্য ও নির্মম, সূর্যের মতো ভয়ঙ্কর।"
কবি এক ভয়ঙ্কর প্রাণী দেখেন, যার দেহ সিংহের এবং মাথা মানুষের, যার চোখে কোনো দয়া নেই।
Lines 17-18:
"Is moving its slow thighs, while all about it / Reel shadows of the indignant desert birds."
The creature moves slowly, while angry desert birds circle around it in a chaotic dance.
"তার ধীর গতিতে চলমান উরু, আর চারপাশে / ক্রুদ্ধ মরুভূমির পাখির ছায়াগুলো কাঁপছে।"
প্রাণীটি ধীরে ধীরে নড়ছে, আর তার চারপাশে অস্থির মরুভূমির পাখিরা ঘুরপাক খাচ্ছে।
Lines 19-20:
"The darkness drops again; but now I know / That twenty centuries of stony sleep"
Darkness falls again, but the poet realizes that for two thousand years, civilization has been in a deep, unfeeling sleep.
"আবার অন্ধকার নেমে আসে; কিন্তু এখন আমি জানি / বিশ শতাব্দী ধরে এক পাথরের মতো ঘুমে ছিল মানবসভ্যতা।"
আবার সব কিছু অন্ধকার হয়ে যায়, কিন্তু কবি বুঝতে পারেন, মানবজাতি যেন হাজার বছর ধরে এক অচেতন ঘুমে ছিল।
Lines 21-22:
"Were vexed to nightmare by a rocking cradle,"
Now, this long sleep has been disturbed and turned into a nightmare by the movement of something new being born.
"এক দোলনার দোলনে সেই ঘুম দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে।"
কোনো নতুন কিছুর জন্মের কারণে এই দীর্ঘ ঘুম দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে।
Lines 23-24:
"And what rough beast, its hour come round at last, / Slouches towards Bethlehem to be born?"
The poet wonders what terrifying creature is finally coming into the world, heading towards Bethlehem, the birthplace of Jesus.
"এবং কোন ভয়ানক দানব, যার সময় অবশেষে এসে গেছে, / বেঁকে-চলে বেথলেহেমের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে জন্ম নিতে?"
কবি ভাবছেন, কোন ভয়ঙ্কর দানব এবার পৃথিবীতে জন্ম নিতে যাচ্ছে, যা বেথলেহেমের দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে?
Yeats presents a vision of a collapsing world where chaos and destruction rule. Instead of Jesus returning as a savior, the poet imagines a monstrous beast emerging from the desert, symbolizing a dark and terrifying new era. This poem reflects the poet’s fear that the world is on the brink of a catastrophic transformation.
এই কবিতায় ইয়েটস একটি ভেঙে পড়া বিশ্বের চিত্র এঁকেছেন, যেখানে বিশৃঙ্খলা ও ধ্বংস রাজত্ব করছে। যিশুর পুনরাগমনের পরিবর্তে, কবি এক ভয়ঙ্কর দানবের আবির্ভাব কল্পনা করেন, যা এক নতুন অন্ধকার যুগের সূচনা করছে। কবির মতে, মানবসভ্যতা এক ভয়ঙ্কর পরিবর্তনের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে।