Joseph Addison (May 1, 1672 – May 17, 1719) was an English essayist, poet, playwright, and politician. He was the eldest son of Lancelot Addison. Addison is often remembered alongside his close friend Richard Steele, with whom he co-founded The Spectator magazine. His straightforward writing style helped move away from the complicated and formal styles of the 17th century, marking a change in English prose.
Sir Richard Steele was an Anglo-Irish writer, playwright, and politician, best known for co-founding The Spectator magazine with his close friend Joseph Addison. He played a key role in shaping English literature and journalism during his time.
Born: March 12, 1672 – Dublin, Ireland
Died: September 1, 1729 (aged 57) – Wales, United Kingdom
গ্রামের রবিবারগুলো বিশেষ গুরুত্ববহ এবং দ্য স্পেকটেটর এগুলোর বিশেষ মূল্য বোঝেন। এই দিনে গ্রামের মানুষ তাদের সেরা পোশাকে সজ্জিত হয়ে হাসিখুশি মুখে উপস্থিত হয়। অ্যাডিসন বলেন, রবিবার পুরো সপ্তাহের ধুলা ঝেড়ে ফেলে। এটি শুধু গ্রামের মানুষের মনে ধর্মীয় ধারণাগুলোকেই সতেজ করে না, বরং সবাইকে তাদের সেরা রূপে উপস্থাপন করতে উদ্বুদ্ধ করে, কারণ প্রত্যেকেই ভালো দেখাতে, জনপ্রিয় হতে এবং নিজেকে আলাদা করে তুলতে চায়। গ্রামাঞ্চলের গির্জার জমায়েত শহরের লোকদের জন্য এক্সচেঞ্জ বা বাজারের মতোই প্রভাব ফেলে।
সার রজার গ্রামের গির্জা নিয়ে গভীর আগ্রহ দেখিয়েছিলেন এবং নিশ্চিত করতেন যে তার জমিদারেরা নিয়মিত গির্জায় যায়। তিনি নিজ হাতে বাইবেলের বিভিন্ন উদ্ধৃতি বেছে নিয়ে গির্জার দেয়াল সাজিয়েছিলেন। তিনি গির্জাকে একটি সুন্দর নতুন প্যালপিট কাপড় উপহার দিয়েছিলেন। তিনি কমিউনিয়নের টেবিলটি একটি বেষ্টনী দিয়ে ঘিরে দিয়েছিলেন। তিনি গির্জায় নিয়মিত উপস্থিত থাকার উৎসাহ দিতে পারিশবাসীদের কমন প্রেয়ার বুক এবং হাঁটু গেড়ে বসার জন্য একটি হ্যাসকও উপহার দিয়েছিলেন। আরও, তিনি একজন ভ্রাম্যমাণ সংগীতজ্ঞকে আনিয়েছিলেন যিনি পারিশবাসীদের সঠিক সুরে গীতগান শেখাতেন, ফলে তারা গর্ব করত যে তারা আশেপাশের কোনো গ্রামের গির্জার চেয়ে ভালো গান গায়।
গোটা গির্জার জমিদার হওয়ায় সার রজার নিজেকে উপস্থিত সবার আচরণের জন্য ব্যক্তিগতভাবে দায়ী মনে করতেন এবং তাদের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে নিজের কর্তৃত্ব ব্যবহার করতেন। তিনি গির্জায় কাউকে ঘুমাতে দিতেন না, শুধু নিজে ছাড়া। যদি তিনি উপদেশকালীন ঘুমিয়ে পড়তেন, তবে জেগে উঠে চারদিকে তাকাতেন এবং কারো ঘুমোতে দেখা গেলে সঙ্গে সঙ্গে নিজে বা নিজের চাকরদের মাধ্যমে তাকে জাগিয়ে তুলতেন। গির্জায় তার অনেক অদ্ভুত আচরণ প্রকাশ পেত। কখনও তিনি পুরো সম্প্রদায় একটি স্তবক গেয়ে শেষ করলেও, তিনি তখনও সেই স্তবক গেয়ে যেতেন। কোনো প্রার্থনা পছন্দ হলে, তিনি বারবার ‘আমেন’ বলতেন। অনেক সময়, যখন পুরো গির্জা হাঁটু গেড়ে থাকত, তিনি দাঁড়িয়ে লোকগণনার মাধ্যমে কারা অনুপস্থিত তা গুনে রাখতেন। কেউ যদি গির্জার পরিবেশে বিঘ্ন ঘটাত, তবে তিনি প্রার্থনার মধ্যেই তাকে থামিয়ে দিতেন। পারিশবাসীরা এতটাই সরল ছিল যে, তারা এইসব অদ্ভুত আচরণকে কখনো হাস্যকর মনে করত না। বরং, এইসব বিচিত্রতা তার সদগুণগুলোকে আরও উজ্জ্বল করে তুলত।
লাইন ১২-২০। “Sunday clears away......the bell rings”
রবিবার গ্রামের মানুষের উপর দ্বৈত উপকার ফল আনে। প্রথমত, এটি তাদের মন-মেজাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং দ্বিতীয়ত, এটি তাদেরকে নিজেদের সেরা রূপে উপস্থাপন করতে উদ্বুদ্ধ করে। সপ্তাহের একঘেয়ে কাজের ফলে মন যেভাবে ক্লান্ত ও নির্জীব হয়ে পড়ে, রবিবার তা দূর করে। এটি ক্লান্ত মনকে সতেজ করে তোলে এবং ধর্মের উপর বিশ্বাসকে পুনরুজ্জীবিত করে। এটি সপ্তাহের ছয় দিনের অর্থ উপার্জন ও চতুরতার worldly ব্যস্ততা থেকে এক সতেজ পরিবর্তন এনে দেয়। সেই মন, যা এই সকল অবস্থার মধ্যে মরিচা পড়ে গিয়েছিল, রবিবার ধর্মীয় চিন্তার মাধ্যমে পুনরায় উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। এছাড়াও, রবিবার গির্জায় উপস্থিত হওয়ার সুযোগ এনে দেয়, যেখানে গ্রামের মানুষ হাসিমুখে ও সেরা পোশাকে আসেন যাতে তারা অন্যদের চোখে নিজেদের ভালোভাবে উপস্থাপন করতে পারেন। গ্রামে গির্জায় যাওয়া যেন এক সামাজিক অনুষ্ঠান। এই গির্জা সমাবেশে গ্রামের মানুষ নিজেকে আলাদা করে উপস্থাপন ও জনপ্রিয় করার সুযোগ পায়, যেভাবে শহরের মানুষরা এক্সচেঞ্জ বা বাজারে নিজেদের পরিচিতি তৈরি করে। এটি এক ধরনের সুযোগ যেখানে গ্রামের মানুষ প্যারিশ বা এলাকার স্থানীয় বিষয়ে আলোচনা করতে পারে। উপদেশ শেষ হওয়ার পর, গ্রামের মানুষরা নানা বিষয়ে, বিশেষ করে গ্রামের রাজনীতি নিয়ে, নিজেদের মত বিনিময় করে। এই অনুচ্ছেদ অ্যাডিসনের ভাষার নৈপুণ্য প্রমাণ করে। প্রবন্ধটি নীতিশিক্ষামূলক (didactic) প্রকৃতির এবং এখানে অ্যাডিসন স্পেকটেটর চরিত্রে রবিবারের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেছেন। অনুচ্ছেদটি অ্যাডিসনের পর্যবেক্ষণ ক্ষমতারও প্রমাণ দেয়, যেমন তিনি যখন বলেন যে গির্জার সমাবেশে গ্রামের লোকেরা স্থানীয় রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ পায়।
লাইন ৩৩-৩৮। “As Sir Roger......servants to them”
এই প্রবন্ধে গির্জায় সার রজারের আচরণের যে বর্ণনা অ্যাডিসন দিয়েছেন, তা প্রমাণ করে যে স্টিলের পুরনো নাইট চরিত্রের মূল্যায়ন যথার্থ। গির্জায় সার রজার তার বিচিত্র আচরণের যথেষ্ট প্রমাণ দেন। এমনই এক বৈশিষ্ট্য এই অংশে বর্ণিত হয়েছে। সার রজার গ্রামটির স্কোয়ার, অর্থাৎ প্রধান ব্যক্তি এবং অধিকাংশ গ্রামবাসী তার প্রজারা, আর তিনি তাদের জমিদার। এই কারণে, তিনি নিজেকে দায়ী মনে করেন যে গির্জায় উপদেশ চলাকালীন শৃঙ্খলা বজায় থাকছে কিনা তা দেখার জন্য। তিনি নিশ্চিত করেন যে কেউ উপদেশের সময় ঘুমিয়ে না পড়ে—যদিও নিজে এই নিয়মের ব্যতিক্রম! কখনো কখনো তিনি নিজেই হঠাৎ করে ঘুমিয়ে পড়েন উপদেশ চলাকালীন। কিন্তু জেগে ওঠার পর, তিনি উঠে দাঁড়ান এবং গোটা সভায় চোখ বুলিয়ে দেখেন কেউ ঘুমিয়ে পড়েছে কিনা। যদি তিনি কারো ঘুমাতে দেখা পান বা ঘুমিয়ে পড়ার উপক্রম দেখেন, তবে তিনি তাকে নিজে জাগিয়ে দেন বা নিজের চাকরদের দিয়ে জাগিয়ে তোলেন। এই ঘটনা অত্যন্ত হাস্যকর এবং অ্যাডিসন এখানে অত্যন্ত সুন্দরভাবে ব্যঙ্গাত্মক রসিকতা ব্যবহার করেছেন।