Terence Francis Eagleton FBA(Terry Eagleton) is an English literary theorist, critic, and public intellectual. He is currently Distinguished Professor of English Literature at Lancaster University. Eagleton has published over forty books, but remains best known for Literary Theory: An Introduction, which has sold over 750,000 copies. Wikipedia
Born: February 22, 1943 (age 82 years), City of Salford, United Kingdom
Influenced by: Karl Marx, Raymond Williams, Louis Althusser, Antonio Gramsci, Herbert McCabe
Published Date: 1983.
Author: Terry Eagleton, a prominent British literary theorist.
Central Argument: The "rise of English" is connected to the growth of British imperialism and the establishment of English literature as a tool for cultural dominance and ideological indoctrination.
Historical Context: Eagleton examines the development of English literature from its origins in the 18th century to the rise of New Criticism in the 1930s, tracing how it transitioned from a marker of upper-class taste to a global academic discipline.
Ideological Dimension: He argues that the study of English, particularly after the decline of religion, became a way to instill values and beliefs in the lower and middle classes, effectively reinforcing the power of the ruling class.
১৮শ শতকের ইংল্যান্ডে সাহিত্যের ধারণা
তখন সাহিত্যের মানে ছিল এমন লেখালেখি, যা "ভদ্র চিঠিপত্র" বা ‘পলাইট লেটার্স’-এর মতো হতো—অর্থাৎ সমাজের উচ্চবিত্তদের রুচি ও মূল্যবোধ অনুযায়ী লেখা। আগের শতকের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পর, সাহিত্য ছিল এমন এক মাধ্যম, যা মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তদের একত্রিত করত।
সাহিত্য কীভাবে আধুনিক ধারণা হয়ে উঠল
আধুনিক অর্থে সাহিত্য মূলত রোমান্টিক যুগ (১৯শ শতকে) এসে গড়ে ওঠে। তখন ভাবা হতো সাহিত্য মানে হলো কল্পনাপ্রবণ বা সৃষ্টিশীল লেখা, আর সাধারণ গদ্য লেখা মানে নিরস বা অপ্রাণবন্ত কিছু। রোমান্টিক কবিরা শুধু কবিতা লেখেনি, তারা রাজনৈতিক এবং দার্শনিক আন্দোলনেরও অংশ ছিল। কল্পনাশক্তির স্বাধীনতাকে তখন সাহিত্যিক গুণ হিসেবে গণ্য করা হতো। ‘সিম্বল’ বা প্রতীক ব্যবহারের প্রবণতাও তখনই শুরু হয়, যাতে বিপরীত ভাব একসাথে প্রকাশ করা যায়।
টেরি ঈগলটন ও সাহিত্যের রাজনৈতিক ভূমিকা
ঈগলটন বলেন, সাহিত্যে এক ধরণের আদর্শবাদ (ideology) থাকে। ১৯শ শতকের শেষ দিকে ইংরেজি সাহিত্য পড়ানো শুরু হলো কারণ ধর্ম তার প্রভাব হারাচ্ছিল। আগে ধর্ম মানুষকে শান্ত রাখত, এখন সেই কাজটা সাহিত্য করছে। ইংরেজি পড়ানো হতো মধ্যবিত্তদের মধ্যে উচ্চবিত্তদের নীতি ও মূল্যবোধ ঢুকিয়ে দেওয়ার জন্য। সাহিত্যের মাধ্যমে মানুষকে জীবনের বাস্তবতা ভুলিয়ে রাখা হতো, যেন তারা শান্ত থাকে। ইংরেজি ছিল দরিদ্রদের জন্য ‘ক্লাসিকস’-এর বিকল্প। ধর্মের জায়গায় নৈতিক শিক্ষা দেওয়ার জন্য সাহিত্যের ব্যবহার শুরু হয়।
নারীদের জন্য ইংরেজি, পরে পুরুষদের বিষয় হয়ে ওঠে
প্রথমে ইংরেজি বিষয়টিকে খুব গুরুত্ব দেওয়া হতো না। নারীদের জন্য রাখা হতো যেহেতু বড় বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নারীদের ভর্তি দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে এটি পুরুষদের প্রধান বিষয় হয়ে ওঠে, বিশেষ করে যুদ্ধকালীন সময়কালে জাতীয়তাবাদী মনোভাব থেকে।
Scrutiny আন্দোলন ও সাহিত্যের মূল্যায়ন
‘Scrutiny’ নামের একটি সাহিত্যিক আন্দোলন বলত, সমাজ বদলানোর দরকার নেই; বরং শিক্ষার্থীদের শেখানো দরকার যে তারা একটি দুর্নীতিগ্রস্ত সমাজে বাস করছে। তারা চেয়েছিল ১৭শ শতকের মতো এক ‘সুন্দর’ সমাজে ফিরে যাওয়া, কিন্তু বাস্তবে এটা সম্ভব ছিল না। ঈগলটন এটাকে খুব র্যাডিকাল ও কিছুটা হাস্যকর বলে বর্ণনা করেছেন।
T.S. Eliot ও সাহিত্যিক শ্রেণিবিন্যাস
T.S. Eliot ইংল্যান্ডে এসে কিছু কবি ও নাট্যকারকে গুরুত্বপূর্ণ বানালেন, আবার মিল্টন বা রোমান্টিকদের অবস্থান কমিয়ে দিলেন। সাহিত্য তখন ধরা হতে লাগল ঐতিহ্য বহন করে এমন কিছু। সব কবিতা সাহিত্য নয়—যে কবিতায় ঐতিহ্যের ধারা আছে, সেটাই সাহিত্য।
Practical Criticism বা ব্যবহারিক সমালোচনা
এই পদ্ধতিতে একটি কবিতা বা গদ্য লেখা তার সামাজিক বা ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ছাড়াই বিশ্লেষণ করা হতো। ছোট ছোট অংশ বিশ্লেষণ করে লেখার গুণমান বোঝা যেত বলে ধরা হতো। আই.এ. রিচার্ডস নামের একজন বিজ্ঞানমনস্ক সাহিত্যিক বলতেন, মানুষের মনে অনেক প্রশ্ন থাকে, যেগুলোর উত্তর না থাকলেও উত্তর দেওয়ার ভান না করলে সমাজ ভেঙে পড়বে। কবিতা সেই ‘মিথ্যা উত্তর’ দেয়।
New Criticism ও তার দৃষ্টিভঙ্গি
আমেরিকান নিউ ক্রিটিসিজমও Scrutiny-এর মতোই ছিল। তারা বলত, সাহিত্যে কবির উদ্দেশ্য বা পাঠকের অনুভূতি—কোনোটাই সাহিত্য বিশ্লেষণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয়। কবিতার নিজস্ব অর্থই মুখ্য। এটা এক ধরণের ‘বড় মানুষের সাহিত্য’ ভাবধারা তৈরি করে, যেখানে পাঠককে কিছুতেই সম্পৃক্ত না হয়ে শুধু বিশ্লেষণ করতে বলা হয়।
“The Rise of English” একটি অসাধারণ প্রবন্ধ, যেখানে টেরি ঈগলটন দেখিয়েছেন কীভাবে আমরা আজকে যেভাবে সাহিত্যকে বুঝি, সেই ধারণার জন্ম হয়েছে, কীভাবে সাহিত্যের পড়াশোনা একাডেমিকভাবে শুরু হয়েছে এবং কীভাবে ইংরেজি সাহিত্যের সমালোচনার ধারা বিকাশ লাভ করেছে।
ঈগলটন দেখান, ব্রিটিশ উপনিবেশগুলোতে ইংরেজিকে একটি একাডেমিক বিষয় হিসেবে চালু করার পেছনে ছিল মূলত পুঁজিবাদী স্বার্থ। তিনি দেখান, কীভাবে সাহিত্যকে একটি নিয়ন্ত্রণের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল।
একজন পোস্ট-মডার্ন তাত্ত্বিক হিসেবে ঈগলটন সাহিত্যের সমালোচনায় New Criticism-এর সীমাবদ্ধতাগুলো বিশ্লেষণ করেন এবং নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে সাহিত্য পাঠের জন্য একটি বিকল্প পথ উন্মুক্ত করেন।
তবে, এই প্রবন্ধে “The Rise of English”-এ তিনি মূলত সাহিত্যের তাত্ত্বিক বিকাশের যে ধারা New Criticism পর্যন্ত গিয়েছিল, সেই ধারার কঠোর সমালোচনা করেন।