John Keats was a poet of the second generation of English Romantic poets, alongside Lord Byron and Percy Bysshe Shelley. His poetry was published for less than four years before he succumbed to tuberculosis at the young age of 25.
Born: October 31, 1795, Moorgate, London, United Kingdom.
Died: February 23, 1821 (at the age of 25), Rome, Italy.
তোমার প্রাচুর্য যেখানে সংরক্ষিত, সেখানে তোমাকে কে খুঁজে পায়নি, শরৎ? যে কেউ, যে তোমার আশপাশে ঘোরাফেরা করছে, সহজেই তোমাকে খুঁজে পেতে পারে—হয়তো তোমাকে দেখা যাবে ধানগুদামের মেঝেতে অলসভাবে বসে থাকতে, হালকা বাতাসে তোমার চুল উড়ছে, যেন ফসল কাটার পর ধানশিষের দানা থেকে খোসা আলাদা করা হচ্ছে। কেউ হয়তো তোমাকে ঘুমিয়ে থাকতে দেখবে মাঠের মধ্যে, অসম্পূর্ণভাবে কাটা ফসলের সারিতে, ক্লান্ত হয়ে, কারণ পপির ঘুমপাড়ানি গন্ধ তোমাকে আচ্ছন্ন করে রেখেছে। সেই অবস্থায়, তুমি যেই কাস্তেটি ফসল কাটার জন্য ব্যবহার করছিলে, সেটি পাশে পড়ে থাকবে—শুধু পড়ে থাকবে, আর তার ফলে কাছের মোচড়ানো ফুলগুলো কাটা থেকে রেহাই পেয়ে যাবে। কখনো কখনো, তুমি সেই কৃষি-শ্রমিকের মতো, যে ফসল তোলার পর জমিতে পড়ে থাকা ফসলের টুকরোগুলো সংগ্রহ করে—তুমি তার মতোই সতর্ক, তুমি নদীর ধারে দাঁড়িয়ে থাকো, তোমার ফল-পাতায় পূর্ণ ভারী মাথা নিচু করে। আবার কখনো, তুমি ধৈর্য ধরে সেই যন্ত্রটির দিকে তাকিয়ে থাকো, যা আপেল থেকে সাইডারের রস বের করে, লক্ষ করো কিভাবে রস ও পাল্প ধীরে ধীরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে মেশিন থেকে গলে বেরিয়ে আসে।
বসন্তের সেই সঙ্গীত কোথায়, যা পাখির গানে ফুটে ওঠে? আমি আবার বলছি, কোথায় তা? বসন্তের সেই সঙ্গীতের কথা ভেবো না—তোমার নিজস্ব সঙ্গীত রয়েছে। তোমার সঙ্গীতের পটভূমিতে রয়েছে এক দৃশ্য, যেখানে অপরূপ ছায়াময় মেঘ সন্ধ্যার আকাশে প্রসারিত হচ্ছে এবং সূর্যালোককে এমনভাবে ছেঁকে দিচ্ছে যে, তা কাটা-মাঠের উপর গোলাপি আভা ফেলছে। তোমার সঙ্গীতের অংশ হলো গুনগুন করা গঙ্গাফড়িং, যারা নদীর ধারে উইলো গাছের শাখার মাঝে বিলাপের সুরে গুঞ্জন করে, আর বাতাসের জোর অনুযায়ী ওঠানামা করে। তোমার সঙ্গীতে রয়েছে পরিণত মেষশাবকের ‘বাঁ…বাঁ…’ ডাক, যা পাহাড়ের বেড়ার ধারে থেকে শোনা যায়। রয়েছে ঝোপের মধ্যে ঝিঁঝির গানের সুর, এবং ছোট বাগানে থেকে লাল-স্তনযুক্ত পাখির মৃদু শিস। আর সবশেষে, রয়েছে আকাশের দিকে উড়তে থাকা এবং গোধূলির আলোয় সমবেত হয়ে গাওয়া গানের সুর তোলা গাংচিলের ঝাঁক।
Season of mists and mellow fruitfulness,
কুয়াশার ঋতু এবং মৃদু ফলপ্রাচুর্যের ঋতু,
Close bosom-friend of the maturing sun;
পরিণত সূর্যের ঘনিষ্ঠ বন্ধু,
Conspiring with him how to load and bless
তার সঙ্গে মিলে চক্রান্ত করো কিভাবে ভরে তোলা ও আশীর্বাদ করা যায়,
With fruit the vines that round the thatch-eves run;
খড়ের ছাদের কিনারায় ঘেরা লতাগুল্মে ফলের ভার দিয়ে,
To bend with apples the moss'd cottage-trees,
শ্যাওলাচ্ছন্ন কটেজের গাছগুলোকে আপেলের ভারে নত করো,
And fill all fruit with ripeness to the core;
এবং প্রতিটি ফলের অন্তর্দেশ পর্যন্ত পাকিয়ে তোল,
To swell the gourd, and plump the hazel shells
লাউকে ফুলিয়ে তোল, হ্যাজেল বাদামের খোলকে মোটা করো,
With a sweet kernel; to set budding more,
ভেতরে মিষ্টি বীজ দিয়ে; আরও নতুন কুঁড়ি তৈরি করো,
And still more, later flowers for the bees,
এবং মৌমাছির জন্য আরও বেশি দেরিতে ফোটা ফুল দাও,
Until they think warm days will never cease,
যতক্ষণ না তারা ভাবে উষ্ণ দিন আর শেষ হবে না,
For summer has o'er-brimm'd their clammy cells.
কারণ গ্রীষ্ম তাদের মৌচাক মধুতে উপচে দিয়েছে।
কবি শরৎকালকে কুয়াশাচ্ছন্ন এবং ফলের প্রাচুর্যে পূর্ণ এক ঋতু হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এই ঋতু যেন পরিণত সূর্যের ঘনিষ্ঠ বন্ধু, যিনি গাছপালায় প্রচুর ফলের ভার দেন এবং প্রতিটি ফলকে সম্পূর্ণভাবে পাকিয়ে তোলেন। শরৎ লাউকে ফোলায়, হ্যাজেল বাদামকে পরিপূর্ণ করে এবং দেরিতে ফোটা ফুল সৃষ্টি করে, যাতে মৌমাছিরা ভাবে গ্রীষ্মের উষ্ণতা কখনো শেষ হবে না, কারণ তাদের মৌচাক মধুতে পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
Who hath not seen thee oft amid thy store?
কে তোমাকে তোমার প্রাচুর্যের মাঝে বারবার দেখেনি?
Sometimes whoever seeks abroad may find
যে কেউ যদি বাইরে খোঁজে, তবে সে তোমাকে পেতে পারে,
Thee sitting careless on a granary floor,
একটি শস্যাগারের মেঝেতে নির্ভার বসে থাকতে,
Thy hair soft-lifted by the winnowing wind;
যেখানে বাতাস তোমার চুলকে ধীরে ধীরে উড়িয়ে দিচ্ছে,
Or on a half-reap’d furrow sound asleep,
অথবা আধা-কাটা জমির ওপর গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন,
Drows’d with the fume of poppies, while thy hook
পপির ঘ্রাণে মাতাল, আর তোমার কাস্তে তখন,
Spares the next swath and all its twined flowers:
পরবর্তী সারির মোচড়ানো ফুলগুলোকে কাটার হাত থেকে রক্ষা করে।
And sometimes like a gleaner thou dost keep
এবং কখনো কখনো তুমি একজন ফসল সংগ্রহকারীর মতো দাঁড়িয়ে থাকো,
Steady thy laden head across a brook;
তোমার ফলভর্তি মাথা নদীর ধারে স্থিরভাবে ধরে রেখো,
Or by a cyder-press, with patient look,
অথবা সাইডার তৈরির যন্ত্রের পাশে, ধৈর্যশীল দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকো,
Thou watchest the last oozings hours by hours.
যেখানে আপেলের রস ধীরে ধীরে গলে পড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা।
এই স্তবকে কবি শরৎকে এক রূপকল্পের মাধ্যমে জীবন্ত করে তুলেছেন, যেন সে মানুষের মতো বসবাস করছে। কবি বলেন, যে কেউ চাইলে শরৎকে শস্যাগারে অলসভাবে বসে থাকতে দেখতে পারে, যেখানে হালকা বাতাস তার চুল উড়িয়ে দেয়। শরৎ হয়তো পপি ফুলের ঘ্রাণে তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে আধা-কাটা ফসলের জমিতে ঘুমিয়ে পড়েছে, যার ফলে তার কাস্তে ফসল কাটতে পারে না। আবার, শরৎকে কখনো একজন সংগ্রহকারীর মতো দেখা যায়, যে তার ভারী মাথা নদীর ধারে ধরে রাখছে, অথবা সাইডার তৈরির যন্ত্রের পাশে ধৈর্য ধরে আপেলের রস ধীরে ধীরে গলে পড়ার দৃশ্য দেখছে।
Where are the songs of spring? Ay, Where are they?
বসন্তের গান কোথায়? হ্যাঁ, কোথায় তারা?
Think not of them, thou hast thy music too,—
তাদের কথা ভাবো না, তোমারও নিজস্ব সঙ্গীত আছে,
While barred clouds bloom the soft-dying day,
যখন সন্ধ্যার মেঘগুলি প্রসারিত হয় ধীরে ধীরে ম্লান হয়ে আসা দিনের আকাশে,
And touch the stubble-plains with rosy hue;
এবং কাটা-ফসলের মাঠকে গোলাপি আভায় রাঙিয়ে দেয়,
Then in a wailful choir the small gnats mourn
তখন এক করুণ সুরে গঙ্গাফড়িংরা বিলাপ করে,
Among the river sallows, borne aloft
নদীর ধারের উইলো গাছের ডালে, যেখানে তারা বাতাসে ভাসে,
Or sinking as the light wind lives or dies;
অথবা নামতে থাকে বাতাসের শক্তি বাড়া-কমার সঙ্গে সঙ্গে।
And full-grown lambs loud bleat from hilly bourn;
এবং পরিণত মেষশাবকেরা পাহাড়ি প্রান্ত থেকে উচ্চস্বরে ডাক দেয়,
Hedge-crickets sing; and now with treble soft
ঝোপের ঝিঁঝিঁ পোকারা গান গায়; আর এখন মৃদু উচ্চ স্বরে,
The red-breast whistles from a garden-croft;
একটি লালবুক পাখি বাগানের ছোট্ট জমি থেকে শিস দেয়,
And gathering swallows twitter in the skies.
এবং উড়ন্ত আবাসী পক্ষীরা (গাংচিলের দল) সন্ধ্যার আকাশে কিচির-মিচির করে।
কবি এখানে শরৎকালকে বসন্তের সঙ্গে তুলনা করেছেন এবং বলেন, বসন্তের গানের কথা ভাবার দরকার নেই, কারণ শরতেরও নিজস্ব সঙ্গীত রয়েছে। শরতের সঙ্গীতে রয়েছে গোধূলির আকাশের মেঘের গোলাপি আভা, নদীর ধারে গুঞ্জন করা গঙ্গাফড়িং, পাহাড়ি মেষশাবকদের ডাক, ঝিঁঝিঁ পোকার গান, বাগানের লালবুক পাখির শিস, এবং গোধূলির আকাশে সমবেত গাংচিলের কিচির-মিচির শব্দ।
জন কিটসের "To Autumn" কবিতাটি শরৎ ঋতুর সৌন্দর্য, প্রাচুর্য ও পরিপূর্ণতাকে প্রশংসা করে। প্রথম স্তবকে শরতের প্রাচুর্য তুলে ধরা হয়েছে, যেখানে ফল ও শস্য পরিপক্ব হয়ে ওঠে। দ্বিতীয় স্তবকে শরৎকে জীবন্ত চরিত্র হিসেবে দেখানো হয়েছে, যে অলসভাবে শস্যাগারে বসে থাকে বা জমির ধারে ঘুমিয়ে থাকে। তৃতীয় স্তবকে কবি শরতের সঙ্গীতকে তুলে ধরেছেন, যেখানে প্রাকৃতিক দৃশ্যের মধ্য দিয়ে এক অপূর্ব সুর তৈরি হয়। পুরো কবিতাটি শরৎকে এক অনন্য রূপে চিত্রিত করে, যা প্রকৃতির সৌন্দর্যের প্রতি কিটসের গভীর ভালোবাসার প্রকাশ।