Percy Bysshe Shelley was an English writer and one of the major poets of the Romantic era.
Born: August 4, 1792, Field Place, United Kingdom
Died: July 8, 1822 (aged 29), Lerici, Italy
এই কবিতার বক্তা (Speaker) সরাসরি পাখিটিকে সম্বোধন করে এবং তার গানের বিশুদ্ধতা বা পবিত্রতার প্রশংসা করেন। পরে তিনি মানুষের দুঃখপূর্ণ এবং খালি (অর্থহীন) ভাষার সাথে স্কাইলার্কের গানের তুলনা করেছেন। প্রকৃতির অনন্য সৌন্দর্য এবং বিশেষ করে এর আধ্যাত্মিক শক্তিকে সম্মান জানিয়ে লেখা এই কবিতাটি রোমান্টিক কবিতার (Romantic poetry) অন্যতম প্রধান উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হয়।এই কবিতার গঠন (form) প্রচলিত নিয়মের বাইরে এবং এতে গানের মতো ছন্দ (rhyme scheme) ও লয়ের (rhythm) ব্যবহার রয়েছে, যা সূক্ষ্মভাবে স্কাইলার্কের কণ্ঠস্বর বা ডাকের অনুকরণ করে।
পাখিটি আকাশে ক্রমাগত উপরে উঠতে থাকে, যা বক্তাকে উজ্জ্বল শিখার (flames) মতো মনে করিয়ে দেয়। এটি বিশাল নীল আকাশজুড়ে উড়ে বেড়ায়—গাইতে গাইতে উড়ে, আর উড়তে উড়তে গান গায়।
সূর্যাস্তের সময় সোনালি আলো চারপাশের মেঘগুলিকে আলোকিত করে, আর স্কাইলার্ক ঝলমলে আকাশে ভেসে বেড়ায়, যেন এটি নির্গত সুখের এক অবয়ব, যা মাত্রই তার যাত্রা শুরু করেছে।
ক্ষীণ বেগুনি সন্ধ্যা স্কাইলার্কের পথ প্রশস্ত করে, আকাশের আলো ধীরে ধীরে মিলিয়ে যায় এবং পাখিটিকে আচ্ছাদিত করে। স্কাইলার্ক যেন এক উজ্জ্বল তারা, যা দিনের বেলা দেখা যায় না। বক্তা পাখিটিকে দেখতে পান না, কিন্তু তার উঁচু স্বরের গান স্পষ্টভাবে শোনেন।
বক্তা মনে করেন, স্কাইলার্কের গান ঠিক চাঁদের আলোর মতো উজ্জ্বল এবং তীক্ষ্ণ, যদিও উজ্জ্বল সকালবেলার আলোতে চাঁদের আলো কমে যায়। যদিও এর আলো স্পষ্টভাবে বোঝা যায় না, তবুও মানুষ অনুভব করতে পারে যে এটি সেখানে রয়েছে।
স্কাইলার্কের সুমধুর ডাক পুরো আকাশ এবং পৃথিবীকে পরিপূর্ণ করে তোলে, যা বক্তাকে পরিষ্কার রাতের আকাশে একাকী মেঘ থেকে ছড়িয়ে পড়া চাঁদের আলো স্মরণ করিয়ে দেয়—যা আকাশজুড়ে প্রবাহিত হয়ে যেন সমস্ত জায়গাকে ভরিয়ে তোলে।
মানুষ আসলে স্কাইলার্কের প্রকৃত শক্তি বুঝতে পারে না, তাই বক্তা পাখিটিকে জিজ্ঞাসা করেন যে, কোন বস্তু বা প্রাণী এর সাথে তুলনীয় হতে পারে। তিনি ব্যাখ্যা করেন যে, রঙিন মেঘের মধ্যে থাকা সূর্যালোক প্রতিফলিত করা পানির ফোঁটাগুলিও স্কাইলার্কের সুরেলা সংগীতধারার তুলনায় ম্লান মনে হয়।
বক্তা স্কাইলার্ককে একজন কবির সঙ্গে তুলনা করেন, যে গভীর চিন্তায় মগ্ন থাকে। কবি এমন গীত রচনা করেন যা কেউ তাকে লিখতে বলেনি—এটি তার বিশুদ্ধ সৃজনশীল প্রবৃত্তির ফল। তার লেখা মানুষকে সেসব আশা ও ভয় বোঝায়, যা তারা আগে উপেক্ষা করেছিল।
এরপর বক্তা স্কাইলার্ককে এক সম্ভ্রান্ত যুবতীর সঙ্গে তুলনা করেন, যে তার দুর্গের সুউচ্চ মিনার থেকে গোপনে গান গায়, যেন তার প্রেমে ভারাক্রান্ত আত্মাকে সান্ত্বনা দেয়। তার গান ভালোবাসার মতোই মধুর, যা তার কক্ষজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।
বক্তা আরও বলেন, স্কাইলার্ক একটি উজ্জ্বল জোনাকির মতো, যা শিশিরস্নাত ছোট্ট উপত্যকায় আলো ছড়িয়ে দেয়। অন্যদের আলোকিত করা এর কোনো দায়িত্ব নয়, তবুও এটি নিজ ইচ্ছায় চারপাশে আলো ছড়িয়ে দেয়, যদিও গাছপালার মধ্যে এটি আড়ালে থাকে।
অবশেষে, বক্তা স্কাইলার্ককে এক ফুলের সঙ্গে তুলনা করেন, যা তার পাতা দ্বারা আবৃত থাকে, যতক্ষণ না উষ্ণ বাতাস এসে পাপড়িগুলো সরিয়ে নেয়। ফুলের মনোমুগ্ধকর সুগন্ধ আশপাশের মৌমাছিদের মাতাল করে ফেলে।
বক্তা এরপর সেই সব আনন্দদায়ক শব্দের কথা উল্লেখ করেন, যা স্কাইলার্কের গানের সঙ্গে তুলনীয় নয়—বসন্তকালে ঘাসের ওপর হালকা বৃষ্টির শব্দ, বৃষ্টিতে প্রাণ ফিরে পাওয়া ফুলের সৌন্দর্য, এবং যা কিছু কখনো আনন্দময়, উজ্জ্বল ও স্পন্দনশীল ছিল।
এই স্কাইলার্ক কি পাখি, না পরির মতো কিছু? এ বিষয়ে বিভ্রান্ত হয়ে বক্তা পাখিটিকে অনুরোধ করেন, যেন এটি মানুষকে নিজের বিশুদ্ধ, আনন্দময় চিন্তা শেখায়। তিনি দাবি করেন, কখনোই মানুষের কোনো গান—প্রেম ও মদের বন্দনা করা সংগীতও—স্কাইলার্কের আবেগময় সংগীতের মতো স্বর্গীয় শোনায়নি।
বক্তার দৃষ্টিতে, স্কাইলার্কের গানের তুলনায় এমনকি বিয়ের সঙ্গীত বা বিজয় উদযাপনের গানও ফাঁকা অহংকারের মতো মনে হয়, যা আসলে এক অজানা আকাঙ্ক্ষার ইঙ্গিত দেয়।
শেষে, বক্তা ভাবতে থাকেন, কোন উৎস থেকে স্কাইলার্ক তার গানের প্রেরণা পায়। তিনি পাখিটিকে জিজ্ঞাসা করেন, ঠিক কোন জিনিস তাকে এত আনন্দদায়ক সুর সৃষ্টি করতে অনুপ্রাণিত করে—বিশেষ কোনো বিস্তীর্ণ ভূমি, নদী, বা পর্বতশ্রেণী? আকাশের কোনো বিন্যাস, না ঘাসে মোড়ানো কোনো সমভূমি? অন্য স্কাইলার্কদের প্রতি ভালোবাসা, না দুঃখের অনুপস্থিতি?
স্কাইলার্কের গানের মধ্যে যে স্বচ্ছ, গভীর আনন্দ আছে, তা দেখে বক্তা কল্পনাও করতে পারেন না যে পাখিটি কখনো ক্লান্ত হয় বা বিরক্তির কোনো চিহ্ন জানে। বক্তার মতে, স্কাইলার্ক ভালোবাসতে জানে, কিন্তু কখনো অতিরিক্ত ভালোবাসার কারণে সৃষ্ট দুঃখ অনুভব করেনি।
এছাড়া, বক্তা বিশ্বাস করেন যে স্কাইলার্ক—সচেতনভাবে হোক বা অজান্তে—মৃত্যুর বিষয়টি মানুষের কল্পনার চেয়েও গভীরভাবে ও অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্নভাবে বোঝে। তা না হলে, কীভাবে পাখিটির সঙ্গীত এত সৌন্দর্য ও স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রবাহিত হতে পারে?
এরপর বক্তা ব্যাখ্যা করেন যে মানুষের চিন্তা-ভাবনা স্কাইলার্কের চিন্তার চেয়ে অনেক আলাদা। মানুষ অতীত ও ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে থাকে এবং যা নেই তা পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা করে। আরও গভীরভাবে চিন্তা করলে দেখা যায়, মানুষের সবচেয়ে আন্তরিক হাসির মধ্যেও কিছুটা দুঃখ লুকিয়ে থাকে, এবং মানুষের সবচেয়ে সুমধুর গানগুলিও অন্তর্নিহিত বেদনার বহিঃপ্রকাশ।
এমনকি যদি মানুষ কখনো কান্নাহীন হতে পারত এবং ঘৃণা, অহংকার, ভয়কে প্রত্যাখ্যান করতে পারত, তবুও বক্তার বিশ্বাস, তারা কখনোই স্কাইলার্কের পরম আনন্দের কাছাকাছিও পৌঁছাতে পারত না।
স্কাইলার্ককে এক আধ্যাত্মিক সত্তা হিসেবে সম্বোধন করে বক্তা বলেন, কবিদের কাছে স্কাইলার্কের কণ্ঠ যে কোনো সুন্দর সুরের ছন্দ বা বই থেকে পাওয়া মূল্যবান তথ্যের চেয়েও মহৎ।
শেষে বক্তা স্কাইলার্কের কাছে এক অন্তিম অনুরোধ জানান—সে যেন তার সুখের জ্ঞান থেকে অন্তত অর্ধেক অংশ শেয়ার করে। বক্তা বিশ্বাস করেন, যদি এমন জ্ঞান লাভ করা যেত, তবে তার মুখ থেকে সুরেলা গানের বন্যা বয়ে যেত। আরও বেশি, মানুষ তখন সেই গান শুনত, ঠিক যেমন বক্তা এখন স্কাইলার্কের গান শোনেন।
শুভেচ্ছা তোমায়, প্রফুল্ল আত্মা!
কবি এখানে এক উচ্ছ্বসিত, স্বাধীন আত্মার প্রতি সম্বোধন করেছেন, যা প্রকৃতপক্ষে একটি স্কাইলার্ক (একটি গান গাওয়া পাখি)।
তুমি কোনো পাখি নও,
কবি বলেন, তুমি প্রকৃত পাখি নও, বরং তুমি এক স্বর্গীয় সত্তা, যা মুক্ত ও সীমাহীন।
যে স্বর্গ থেকে, বা তার কাছাকাছি থেকে,
কবির মতে, এই পাখির গান এত মধুর যে মনে হয় যেন তা স্বর্গ থেকে নেমে এসেছে।
তুমি তোমার পূর্ণ হৃদয় উজাড় করে দাও
এই পাখি অবিরাম তার হৃদয় থেকে সংগীত প্রবাহিত করে।
স্বতঃস্ফূর্ত শিল্পের প্রাচুর্যপূর্ণ সুরে।
স্কাইলার্কের গান পূর্বপরিকল্পিত নয়; এটি এক বিশুদ্ধ ও অবিচল সংগীত।
উচ্চতর এবং আরও উচ্চতর
কবি লক্ষ্য করেন, পাখিটি ক্রমাগত উড়তে থাকে, উচ্চতর শিখরে পৌঁছায়।
তুমি পৃথিবী থেকে উঠে আসো
এই পাখিটি যেন মাটির বন্ধন থেকে মুক্ত হয়ে স্বর্গের দিকে ছুটে চলে।
একটি অগ্নিশিখার মতো;
এটি আগুনের শিখার মতো দ্রুতগতিতে আকাশে উঠে যাচ্ছে।
তুমি নীল গভীরতার মধ্যে ডানা মেলো,
এই পাখি বিশাল নীল আকাশের মধ্যে উড়ে বেড়ায়।
এবং গান গাইতে গাইতে উড়ো, আর উড়তে উড়তে গান গাও।
স্কাইলার্ক কখনও তার গান বন্ধ করে না; উড়ার আনন্দই তার সংগীত।
সোনালি বিদ্যুতের ঝলকানিতে
সূর্যাস্তের সময়কার সোনালি আভা পাখিটির সৌন্দর্যকে আরও উজ্জ্বল করে তোলে।
অস্তগামী সূর্যের,
এই সময় সূর্য ডুবে যাচ্ছে, কিন্তু আলো এখনও ঝলমল করছে।
যার উপরে মেঘেরা উজ্জ্বল হয়ে উঠছে,
সূর্যাস্তের সময় মেঘগুলো স্বর্ণালী আলোয় দীপ্ত হয়ে ওঠে।
তুমি ভাসো এবং দৌড়াও;
কবি মনে করেন, পাখিটি যেন বাতাসের স্রোতে ভেসে যাচ্ছে।
যেন এক অশরীর আনন্দ, যার দৌড় মাত্র শুরু হয়েছে।
এই পাখির গান কোনো শারীরিক রূপ ধারণ করে না, বরং এটি এক অমলিন আনন্দের প্রতীক।
ফিকে বেগুনি সন্ধ্যা
সূর্যাস্তের পর আকাশ বেগুনি রঙ ধারণ করে।
তোমার উড়ানের চারপাশে গলে যায়;
সন্ধ্যার আলো ধীরে ধীরে মিলিয়ে যায়, আর পাখিটি তার উড়ান অব্যাহত রাখে।
যেন স্বর্গের একটি তারা,
স্কাইলার্ককে এখানে আকাশের উজ্জ্বল নক্ষত্রের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
প্রচণ্ড দিনের আলোতে
দিন থাকাকালীনও এই পাখি অবিরাম গান গায়।
তুমি অদৃশ্য, কিন্তু আমি তোমার তীক্ষ্ণ আনন্দধ্বনি শুনতে পাই।
পাখিটি হয়তো চোখে দেখা যায় না, কিন্তু তার সুর ধ্বনিত হয় চারপাশে।
তীক্ষ্ণ যেমন তীরের ফলক
স্কাইলার্কের গান এত তীক্ষ্ণ ও স্পষ্ট যে তা মনে গভীরভাবে প্রবেশ করে।
সেই রৌপ্য গোলকের,
এখানে রৌপ্য গোলক বলতে চাঁদকে বোঝানো হয়েছে।
যার তীব্র প্রদীপ ক্ষীণ হয়ে আসে
চাঁদের আলো ক্রমশ ফিকে হয়ে আসে।
সাদা ভোরের স্বচ্ছ আলোতে
চাঁদের আলো হারিয়ে যায় সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে।
যতক্ষণ না আমরা একে দেখতে পাই না, কিন্তু অনুভব করি যে তা আছে।
স্কাইলার্কের গানও ঠিক তেমনি; পাখিটি চোখে দেখা না গেলেও তার উপস্থিতি অনুভূত হয়।
সমস্ত পৃথিবী এবং আকাশ
স্কাইলার্কের গান সারা পৃথিবী ও আকাশকে ভরে তোলে।
তোমার কণ্ঠস্বরের গর্জনে মুখরিত,
তার গান প্রকৃতিকে এক অনন্য সঙ্গীতময় পরিবেশে ঢেকে রাখে।
যেমন, যখন রাত ফাঁকা,
এক গভীর রাতের নীরবতার কথা বলা হয়েছে।
একাকী একটি মেঘ থেকে
মাঝে মাঝে একটি মাত্র মেঘ আকাশে ঝুলে থাকে, ঠিক যেমন স্কাইলার্ক একাকী গান গায়।
চাঁদ তার আলো বর্ষণ করে, আর আকাশ আলোয় ভরে যায়।
স্কাইলার্কের গানও তেমনই—তার সুর আকাশজুড়ে বিস্তৃত হয়।
তুমি কে, আমরা তা জানি না;
কবি স্বীকার করছেন যে স্কাইলার্কের প্রকৃতি বোঝা কঠিন।
তোমার সঙ্গে সবচেয়ে বেশি মিল কার?
স্কাইলার্কের তুলনা করা যায় এমন কোনো কিছু খুঁজে পাওয়া কঠিন।
রংধনুর মেঘ থেকে প্রবাহিত হয় না
স্কাইলার্কের সুর এতটাই মধুর যে এমন কিছুই নেই যা তার সঙ্গে তুলনীয়।
এত উজ্জ্বল বিন্দুগুলো
এমনকি রংধনুর সৌন্দর্যও স্কাইলার্কের সুরের তুলনায় ম্লান।
যেমন তোমার উপস্থিতি এক সংগীতের বৃষ্টি বর্ষণ করে।
স্কাইলার্ক যেন সংগীতের ধারা প্রবাহিত করে, যা আকাশ থেকে বৃষ্টি হয়ে নামে।
যেন এক কবি লুকিয়ে আছে
কবি এখানে স্কাইলার্ককে এমন এক কবির সঙ্গে তুলনা করছেন, যে তার চিন্তার আলোয় আড়ালে থাকে।
চিন্তার আলোয় ঢাকা,
এক কবি যেভাবে তার গভীর চিন্তার মধ্যে হারিয়ে যায়, স্কাইলার্কও সেভাবে তার গান নিয়ে মগ্ন থাকে।
যে অবাধে গীত গেয়ে যায়,
কবির মতো স্কাইলার্কও নিজের ইচ্ছায় গান গায়, কেউ তাকে আদেশ দেয় না।
যতক্ষণ না বিশ্ব গঠিত হয়
এই সংগীত বিশ্বকে এক নতুন ভাবধারায় আচ্ছন্ন করে।
সেই আশা-ভয়কে সহানুভূতি দিয়ে, যা আগে সে বোঝেনি।
কবি বোঝাতে চান, স্কাইলার্কের গান এমন এক আবেগ সৃষ্টি করে, যা মানুষকে নতুন অনুভূতিতে উদ্বুদ্ধ করে।
যেন এক সম্ভ্রান্ত কুমারী
এখানে স্কাইলার্ককে এক অভিজাত তরুণীর সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে, যে একাকী তার ভাবনায় হারিয়ে থাকে।
এক রাজপ্রাসাদের মিনারে,
সেই কুমারী প্রাসাদের উঁচু মিনারে অবস্থান করে, যেমন স্কাইলার্ক আকাশে উড়ে বেড়ায়।
তার প্রেম-ভারে ভারাক্রান্ত হৃদয় শান্ত করছে
সেই তরুণী নিজের আবেগ ও প্রেমের ভার লাঘব করতে সংগীতের আশ্রয় নেয়।
গোপন সময়ে তার আত্মাকে প্রশমিত করছে
একাকী সময়ে সে নিজের গান ও সুর দিয়ে শান্তি খুঁজে নেয়।
ভালোবাসার মতো মধুর সংগীত দিয়ে, যা তার কুঞ্জকে পরিপূর্ণ করে।
এই সুর প্রেমের মতোই সুন্দর ও আবেগময়, যা তার চারপাশকে ভরে তোলে।
যেন এক সোনালি জোনাকি পোকা
কবি স্কাইলার্ককে এবার জোনাকির সঙ্গে তুলনা করছেন, যা অন্ধকারে আলো ছড়ায়।
শিশিরে ভেজা উপত্যকায়,
এই জোনাকি শিশিরস্নাত ঘাস ও ফুলের মধ্যে লুকিয়ে থাকে।
যে অদৃশ্যভাবে আলো ছড়িয়ে দেয়
যেমন জোনাকির আলো সরাসরি দেখা যায় না কিন্তু তার উপস্থিতি বোঝা যায়, স্কাইলার্কের সুরও তেমনই ছড়িয়ে পড়ে।
তার স্বর্গীয় আভা
এই আলো যেন স্বর্গীয়, যা প্রকৃতির মাঝে ছড়িয়ে পড়ে।
ফুল ও ঘাসের মাঝে, যা তাকে দৃষ্টির আড়াল করে রাখে।
যেমন জোনাকি লুকিয়ে থাকে, স্কাইলার্কও আকাশের উচ্চতায় থেকে দৃষ্টির আড়ালে থাকে, কিন্তু তার গান শোনা যায়।
যেন এক গোলাপ লুকিয়ে আছে
স্কাইলার্কের সংগীতকে একটি গোলাপের সৌরভের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
তার সবুজ পাতার মাঝে,
গোলাপ যেমন নিজের পাতা দিয়ে আবৃত থাকে, স্কাইলার্কও আকাশে হারিয়ে যায়।
উষ্ণ বাতাসে যার পাপড়ি ঝরে যায়,
উষ্ণ বাতাস গোলাপের পাপড়িকে উড়িয়ে নিয়ে যায়, যেমন সময়ের সঙ্গে স্কাইলার্কের গানও মিলিয়ে যায়।
যতক্ষণ না তার সুবাস ছড়িয়ে পড়ে
গোলাপের মতো স্কাইলার্কের গানও চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে।
যা অত্যধিক মিষ্টতায় ভারী পাখার চোরদের কাহিল করে তোলে।
মৌমাছি ও প্রজাপতিরা গোলাপের সৌরভে মোহিত হয়, তেমনই স্কাইলার্কের গান সবাইকে বিমোহিত করে।
বসন্তের বৃষ্টির ধ্বনি
বসন্তের হালকা বৃষ্টির শব্দের মতো স্কাইলার্কের সুরও প্রশান্তিদায়ক।
ঝলমলে ঘাসের ওপর,
বৃষ্টি যখন পড়ে, তখন ঘাস চিকচিক করে ওঠে, যা কবির জন্য সৌন্দর্যের প্রতীক।
বৃষ্টিতে জেগে ওঠা ফুল,
যেমন বৃষ্টি ফুলকে সতেজ করে তোলে, স্কাইলার্কের গানও মনকে সতেজ করে।
যা কিছু ছিল
প্রকৃতির সমস্ত সৌন্দর্য ও আনন্দ এখানে বোঝানো হয়েছে।
আনন্দময়, স্পষ্ট, ও সতেজ—তোমার সংগীত তা ছাড়িয়ে যায়।
স্কাইলার্কের গান প্রকৃতির সব সৌন্দর্যের চেয়েও বেশি মুগ্ধকর।
আমাদের শেখাও, ওহ আত্মা অথবা পাখি,
কবি স্কাইলার্ককে একটি আত্মা বা এক অতিপ্রাকৃত সত্তা মনে করছেন এবং তার কাছ থেকে শিক্ষা নিতে চান।
কী মধুর চিন্তা তোমার:
কবি জানতে চান, কী সেই আনন্দময় ভাবনা যা এই পাখির সুরে প্রতিফলিত হয়।
আমি কখনও শুনিনি
কবির মতে, এমন সংগীত তিনি আগে শোনেননি।
প্রেম বা মদের প্রশংসা
প্রেম বা মদ নিয়ে অনেক গান লেখা হয়েছে, কিন্তু স্কাইলার্কের গান তার চেয়েও গভীর।
যা এত স্বর্গীয় আনন্দের প্লাবন এনেছে।
স্কাইলার্কের গান এক দেবীয় আনন্দ প্রবাহিত করে, যা প্রেম বা মদের গানেও পাওয়া যায় না।
বিবাহগীতের সম্মিলিত সংগীত,
হিমেনীয় সংগীত বলতে প্রাচীন গ্রীক বিবাহের গান বোঝানো হয়েছে।
বা বিজয়ের সংগীত,
এমনকি বিজয় উদযাপনের সংগীতও স্কাইলার্কের গানের সমান নয়।
তোমার সংগীতের তুলনায় সব হবে
স্কাইলার্কের গানের তুলনায় অন্য যে কোনো সংগীত ম্লান।
শুধু এক শূন্য দম্ভ,
অন্য সংগীত শুধুই অহংকার হতে পারে, কিন্তু স্কাইলার্কের সংগীত প্রকৃত আনন্দের উৎস।
একটি বস্তু, যেখানে মনে হয় কিছু লুকানো অভাব রয়েছে।
অন্য গান হয়তো সুন্দর, কিন্তু স্কাইলার্কের সুরের গভীরতা ও বিশুদ্ধতা তাতে নেই।
কি বস্তু তোমার আনন্দের উৎস?
কবি জানতে চান, স্কাইলার্কের এই অপার আনন্দ কোথা থেকে আসে?
তোমার আনন্দময় সুরের উৎস কী?
স্কাইলার্কের গান এত উজ্জ্বল ও আনন্দময় কেন?
কোন ক্ষেত্র, কোন ঢেউ, কোন পর্বত?
কবি জানতে চান, প্রকৃতির কোন অংশ স্কাইলার্ককে এমন আনন্দ দেয়?
আকাশ বা ভূমির কোন রূপ?
স্কাইলার্কের গান কীভাবে এই বিস্তীর্ণ প্রকৃতির সৌন্দর্য থেকে অনুপ্রাণিত হয়?
তোমার স্বজাতির প্রতি কী ভালোবাসা? কীভাবে তুমি যন্ত্রণা থেকে মুক্ত?
কবি বিস্মিত হন, স্কাইলার্কের গান কি তার আত্মীয়দের ভালোবাসা থেকে আসে, নাকি সে কষ্টের কোনো অনুভূতিই জানে না?
তোমার বিশুদ্ধ ও গভীর আনন্দের সাথে
স্কাইলার্কের আনন্দ খুবই তীব্র এবং স্পষ্ট।
অবসাদ কখনো থাকতে পারে না:
তার মধ্যে ক্লান্তি বা বিষণ্ণতার কোনো স্থান নেই।
বিরক্তির ছায়া
স্কাইলার্ক কখনো কোনো বিরক্তি বা হতাশা অনুভব করে না।
তোমার কাছে কখনো আসেনি।
কবির মতে, স্কাইলার্ক যেন দুঃখ ও যন্ত্রণার ঊর্ধ্বে।
তুমি ভালোবাসো, কিন্তু কখনো ভালোবাসার দুঃখজনক অতৃপ্তি বোঝোনি।
মানুষ যেমন প্রেমে পড়ার পর কষ্টও পায়, স্কাইলার্ক সে দুঃখের অনুভূতি জানে না।
জেগে থাকো বা নিদ্রায়,
স্কাইলার্কের চিন্তা ও অনুভূতি সবসময় সুখের থাকে।
তুমি মৃত্যু সম্পর্কে কী ভাবো?
কবি জানতে চান, স্কাইলার্ক কি মৃত্যুর ধারণা রাখে?
আরো গভীর ও সত্য কিছু বিষয়
স্কাইলার্ক কি এমন কিছু জানে যা মানুষ বুঝতে পারে না?
যা আমরা নশ্বর মানুষরা স্বপ্নেও ভাবতে পারি না।
কবি মনে করেন, স্কাইলার্কের উপলব্ধি মানুষের সীমাবদ্ধতার চেয়েও গভীর।
নয়তো তোমার সুর কীভাবে এত স্বচ্ছ স্রোতের মতো প্রবাহিত হয়?
যদি সে দুঃখের কোনো ধারণা না রাখত, তবে তার গান এত বিশুদ্ধ ও আনন্দময় হতো না।
আমরা ভবিষ্যৎ ও অতীত নিয়ে ভাবি,
মানুষ সবসময় অতীতের স্মৃতি আর ভবিষ্যতের চিন্তায় আবদ্ধ থাকে।
এবং যা নেই তার জন্য হাহাকার করি।
আমরা অতৃপ্ত থাকি এবং সবসময় কিছু না কিছু চাই।
আমাদের সবচেয়ে আন্তরিক হাসিও
এমনকি আমাদের খাঁটি হাসিতেও...
কিছুটা দুঃখ লুকিয়ে থাকে;
মানুষের আনন্দের মধ্যেও দুঃখ মিশে থাকে।
আমাদের সবচেয়ে মধুর গানগুলোই সবচেয়ে দুঃখের কাহিনি বলে।
সবচেয়ে আবেগময় ও সুন্দর গানগুলো দুঃখ-ভরা হয়, যেমন প্রেম বা বিচ্ছেদ নিয়ে লেখা গান।
তবে যদি আমরা উপেক্ষা করতে পারতাম
যদি আমরা কিছু আবেগকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারতাম...
ঘৃণা, অহংকার, ও ভয়কে;
যদি আমরা এই নেতিবাচক আবেগগুলো পরিহার করতে পারতাম।
যদি আমরা এমন প্রাণী হতাম
যদি আমাদের জন্ম হত এক সম্পূর্ণ সুখী জীব হয়ে...
যারা কখনো চোখের জল ফেলত না,
যদি আমরা এমন হতাম, যারা দুঃখ অনুভব করত না।
তবে জানি না, তোমার আনন্দের কাছে আমরা কিভাবে পৌঁছাতে পারতাম।
কবি বুঝতে পারেন না, কীভাবে স্কাইলার্কের মতো বিশুদ্ধ আনন্দ মানুষ পেতে পারে।
সব সংগীতের মাত্রার চেয়েও উত্তম
স্কাইলার্কের গান পৃথিবীর সব সুরের চেয়েও শ্রেষ্ঠ।
আনন্দময় ধ্বনির চেয়েও শ্রেষ্ঠ,
যে কোনো মধুর সংগীতের তুলনায় স্কাইলার্কের গান অনন্য।
সব ধন-সম্পদের চেয়েও উত্তম
বইয়ের জ্ঞানের চেয়েও স্কাইলার্কের সুর মূল্যবান।
যা বইয়ে পাওয়া যায়,
পৃথিবীর সব জ্ঞানও স্কাইলার্কের সংগীতের বিশুদ্ধতার সমান নয়।
তোমার দক্ষতা যদি কবির থাকত, ওহ পৃথিবী-অবজ্ঞাকারী!
যদি কোনো কবি স্কাইলার্কের মতো গান লিখতে পারত, তবে সে অনন্য হতো।
আমাকে শেখাও তোমার আনন্দের অর্ধেকটাও
কবি চাইছেন, স্কাইলার্কের সুখের সামান্য অংশও যদি তিনি পেতেন, তবে তিনিও অসাধারণ কিছু সৃষ্টি করতে পারতেন।
যা তোমার মস্তিষ্ক জানে,
স্কাইলার্কের ভাবনার গভীরতা ও আনন্দ বোঝার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করা হয়েছে।
এমন সুরেলা উন্মাদনা
স্কাইলার্কের সুর যেন এক স্বর্গীয় উন্মাদনার মতো।
আমার ঠোঁট থেকেও প্রবাহিত হতো
যদি কবি স্কাইলার্কের আনন্দের অংশ পেতেন, তবে তার কবিতাও অতুলনীয় হতো।
তখন বিশ্ব শুনত, যেমন আমি এখন শুনছি।
কবি বলতে চান, যদি তিনি স্কাইলার্কের মতো কাব্য লিখতে পারতেন, তবে সারা বিশ্ব তা শুনত ও মুগ্ধ হতো।