William Blake was an English poet, painter, and printmaker. Largely unrecognised during his life, Blake has become a seminal figure in the history of both poetry and visual art during the Romantic Age.
Born: November 28, 1757, Soho, London, United Kingdom
Died: August 12, 1827 (age 69 years), London, United Kingdom
Influenced by: Dante Alighieri, John Milton, Mary Wollstonecraft, Emanuel Swedenborg, Ben Jonson, Jakob Böhme
Place of Burial: Bunhill Fields Burial Ground, London, United Kingdom
কবিতাটিতে লন্ডন শহরের এক বিষাদময় ও দমবন্ধ করা চিত্র অঙ্কিত হয়েছে। কবিতার বক্তা শহরের পথে হাঁটতে হাঁটতে দেখতে পান শুধু দুঃখ-কষ্ট, নিপীড়ন ও দারিদ্র্য। এই কবিতায় লন্ডনের শব্দগুলো বিশেষভাবে গুরুত্ব পেয়েছে—পুরো কবিতাজুড়ে পুরুষ, নারী ও শিশুর আর্তনাদ প্রতিধ্বনিত হয়। এটি আংশিকভাবে শিল্প বিপ্লবের (Industrial Revolution) প্রতিক্রিয়া, তবে এর থেকেও বেশি এটি মানবজাতির ব্যর্থতার প্রতি তীব্র সমালোচনা।ব্লেক মনে করেন, মানুষ এমন এক সমাজ গড়তে ব্যর্থ হয়েছে, যেখানে ভালোবাসা, আনন্দ, স্বাধীনতা ও ঈশ্বরের সঙ্গে সংযোগ থাকতে পারত। পরিবর্তে, লন্ডন এক নিপীড়ন ও বেদনায় ভরা শহরে পরিণত হয়েছে।
বক্তা এই কষ্ট শুনতেও পান, পুরুষদের কান্নার শব্দে এবং ভয়ের মধ্যে থাকা নবজাতক শিশুদের কান্নার শব্দে। আসলে, শহরের প্রতিটি কণ্ঠস্বরের মধ্যে, লন্ডনের প্রতিটি আইন বা নিয়মের মধ্যে, বক্তা অনুভব করেন যে মানুষ শহরের জীবনের দ্বারা অত্যাচারিত হচ্ছে।
বক্তা তরুণ চিমনি পরিষ্কারকারীদের কান্না শুনতে পান, যাদের দুঃখ চার্চ কর্তৃপক্ষের জন্য লজ্জার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। দুর্ভাগ্যজনক ব্রিটিশ সৈন্যদের অনর্থক মৃত্যুর কথা ভাবতে গিয়ে, বক্তা কল্পনা করেন যে তাদের রক্ত একটি প্রাসাদের দেয়ালে গড়িয়ে পড়ছে।
সবচেয়ে বেশি, বক্তা মধ্যরাতের তরুণ পতিতাদের কান্না শুনতে পান, যারা তাদের অবস্থার কারণে অভিশাপ দেন ও শপথ করেন। এই দুঃখজনক শব্দ তাদের অশ্রুভরা নবজাতক শিশুদেরও কষ্ট দেয়। বক্তা কল্পনা করেন যে এই শব্দ "বিবাহের শবযান" নামক এক অদ্ভুত কল্পিত বাহনকে তাড়া করছে—যা প্রেম ও মৃত্যুকে একসাথে বয়ে নিয়ে যায়।
I wander thro' each charter'd street,
আমি হেঁটে যাই প্রতিটি শৃঙ্খলাবদ্ধ পথে,
ব্যাখ্যা: কবি লন্ডনের রাস্তাগুলোকে "charter’d" বা নিয়ন্ত্রিত বলেছেন, যা বোঝায় যে শহরের প্রতিটি জায়গা ব্যক্তিমালিকানাধীন বা কোনো বিধি-নিষেধের অধীনে। এটি সাধারণ মানুষের স্বাধীনতার অভাব ও শোষণের ইঙ্গিত দেয়।
Near where the charter'd Thames does flow.
যেখানে শৃঙ্খলাবদ্ধ টেমস নদী বয়ে চলে।
ব্যাখ্যা: এমনকি প্রাকৃতিক নদী টেমসও "charter’d" বলা হয়েছে, অর্থাৎ সেটিও মানুষের অধীনে বা নিয়ন্ত্রিত হয়ে গেছে। কবি বোঝাতে চাচ্ছেন, শুধু মানুষ নয়, প্রকৃতিও শোষিত ও নিয়ন্ত্রিত।
And mark in every face I meet
আমি দেখতে পাই প্রতিটি মুখে
ব্যাখ্যা: কবি লন্ডনের রাস্তায় ঘুরে বেড়ানোর সময় মানুষের মুখের অভিব্যক্তির দিকে লক্ষ্য করেন।
Marks of weakness, marks of woe.
দুর্বলতার চিহ্ন, দুঃখের চিহ্ন।
ব্যাখ্যা: লন্ডনের মানুষজন ক্লান্ত, শোষিত এবং দুঃখে ভারাক্রান্ত। তাদের মুখের ভেতর দুঃখ ও দুর্দশার ছাপ স্পষ্টভাবে ফুটে ওঠে।
In every cry of every Man,
প্রত্যেক মানুষের ক্রন্দনে,
ব্যাখ্যা: কবি লন্ডন শহরে মানুষের কষ্টের আর্তনাদ শুনতে পান।
In every Infants cry of fear,
ভীত শিশুদের কান্নায়,
ব্যাখ্যা: এমনকি নিষ্পাপ শিশুরাও ভয় আর দুঃখে কাঁদছে, যা সমাজের নির্মম বাস্তবতাকে ফুটিয়ে তোলে।
In every voice: in every ban,
প্রত্যেক কণ্ঠে, প্রত্যেক নিষেধাজ্ঞায়,
ব্যাখ্যা: মানুষের কথার মধ্যে ও সমাজের কঠোর নিয়ম-কানুনের মধ্যেও দুঃখের প্রতিধ্বনি শোনা যায়।
The mind-forg'd manacles I hear
আমি শুনতে পাই মানসিক শৃঙ্খলের শব্দ।
ব্যাখ্যা: কবি বলছেন, মানুষ কেবল বাহ্যিক শৃঙ্খলেই আবদ্ধ নয়, বরং তাদের মনও সামাজিক নিয়ম-কানুনের কারণে শৃঙ্খলিত হয়ে গেছে। এটি দারিদ্র্য, অবিচার ও নিপীড়নের প্রতীক।
How the Chimney-sweepers cry
কীভাবে চিমনি পরিষ্কারকারীদের কান্না ভেসে আসে,
ব্যাখ্যা: চিমনি পরিষ্কার করা শিশুরা (chimney sweepers) অমানবিক পরিশ্রমে শোষিত হচ্ছে এবং তাদের আর্তনাদ শহরজুড়ে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে।
Every blackning Church appalls,
কালো হয়ে যাওয়া গির্জাগুলো শিহরণ জাগায়।
ব্যাখ্যা: গির্জাগুলো "blackning" বা কালো হয়ে যাচ্ছে, যা দুইভাবে বোঝানো যায়—একদিকে এটি শিল্পবিপ্লবের ধোঁয়া ও দূষণের প্রতীক, অন্যদিকে এটি গির্জার নৈতিক অবক্ষয়ের ইঙ্গিত দেয়, যেখানে তারা গরিবদের দুর্দশার প্রতি উদাসীন।
And the hapless Soldiers sigh
এবং হতভাগা সৈন্যদের দীর্ঘশ্বাস
ব্যাখ্যা: সৈন্যরা কষ্ট পাচ্ছে—হয়তো যুদ্ধে তাদের জীবন নষ্ট হচ্ছে, অথবা তারা শোষিত হয়ে দেশরক্ষায় বাধ্য হচ্ছে।
Runs in blood down Palace walls
প্রাসাদের দেয়ালে রক্ত গড়িয়ে পড়ে।
ব্যাখ্যা: এটি সম্ভবত বিপ্লব বা যুদ্ধের ইঙ্গিত দেয়, যেখানে সাধারণ মানুষের রক্ত ঝরছে, অথচ ক্ষমতাবানরা নিরাপদে রয়েছে।
But most thro' midnight streets I hear
কিন্তু সবচেয়ে বেশি শুনতে পাই মধ্যরাতের রাস্তায়,
ব্যাখ্যা: রাতের শহরেও নিপীড়ন ও দুঃখের ধ্বনি শোনা যায়।
How the youthful Harlots curse
কীভাবে তরুণ পতিতারা অভিশাপ দেয়,
ব্যাখ্যা: যৌনকর্মে লিপ্ত মেয়েরা (harlots) হয়তো তাদের দুঃখ ও অসহায়ত্ব প্রকাশ করছে।
Blasts the new-born Infants tear
যা সদ্যজাত শিশুর কান্নাকে অভিশপ্ত করে।
ব্যাখ্যা: সমাজের অবক্ষয়ের কারণে নবজাত শিশুরাও জন্মের সাথে সাথেই কষ্ট ভোগ করতে শুরু করে।
And blights with plagues the Marriage hearse
এবং মহামারির মতো বিবাহিত জীবনকে ধ্বংস করে।
ব্যাখ্যা: "Marriage hearse" একটি শক্তিশালী প্রতীক, যা বিবাহিত জীবন ও মৃত্যুর সম্পর্ক বোঝায়। এটি দেখায় কিভাবে প্রেম ও সম্পর্ক সামাজিক দুর্দশার কারণে নষ্ট হয়ে যায়।
এই কবিতায় উইলিয়াম ব্লেক লন্ডন শহরের দুঃখ-কষ্ট, দারিদ্র্য, শোষণ ও সামাজিক অবক্ষয়কে তুলে ধরেছেন। শিল্পবিপ্লবের ফলে সাধারণ মানুষের দুর্দশা বেড়ে গিয়েছে, এবং শাসকেরা গরিবদের কষ্টের প্রতি উদাসীন। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানও এই অবিচারের বিরুদ্ধে কিছু করছে না। কবি শহরের নিপীড়িত মানুষের কান্না, হতাশা, ও অসহায়ত্বের চিত্র এঁকেছেন, যা আজও সমসাময়িক সমাজের সঙ্গে সম্পর্কিত।